নাটোর ও গুরুদাসপুর প্রতিনিধিক্যানুলা হাতে একটি দোকানে সিগারেট নিয়ে টানছিলেন যুবক মনিরুল ইসলাম। সিগারেট ফেলে দিয়ে একটি ইজিবাইকে উঠতে গিয়ে কাঁপতে কাঁপতে পড়ে যান। হাতে ক্যানুলা আর শরীরের কাঁপুনি দেখে করোনা ভয়ে কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যায়নি। এমনকি করোনা ভয়ে কোনো ইজিবাইক চালকও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। কাঁপতে কাঁপতে নিমিষেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন।
শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নাটোর স্টেশন বাজারে। ওই যুবক নাটোরের গুরুদাসপুরের বৃ-পাথুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বৃ-পাথুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী মনিরুল ইসলাম।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি ২০১৩ সালে বৃ-পাথুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী পদে চাকরি নেন। ৭ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। শুক্রবার শেষ বিকালে মনিরুলের পেটে গ্যাসের সমস্যার জন্য স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বেসরকারি নাটোর মডেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সারারাত হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সকাল ৬টার দিকে চা খেতে নাটোর স্টেশন বাজারে যান। সেখানে গিয়েই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
বৃ-পাথুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে পেটে গ্যাসের সমস্যা নিয়ে তার গর্ভবতী স্ত্রীকে সঙ্গে করে নাটোর মডেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি হন। তার অন্য কোনো সমস্যা ছিল না।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন ভুট্টো বলেন, মনিরুল ইসলামের গ্যাসের সমস্যা দীর্ঘদিনের। তার অন্য কোনো সমস্যা ছিল না।