1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
  3. jeradmin@deshmediabd.com : :
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ অপরাহ্ন

‘হাজার টাকার ১০০ জাল নোটের দাম ১২-১৫ হাজার টাকা’

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১
  • ১১৬ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকআবদুর রহিম শেখ ও ফাতেমা বেগম স্বামী স্ত্রী। তারা গড়ে তুলেছেন জাল টাকার কারখানা। সেই কারখানায় ল্যাপটপ, কালার প্রিন্টার, আঠা ও আইকা, বিভিন্ন ধরনের রং, জাল টাকা তৈরির জন্য বিপুল পরিমাণ কাগজ, নিরাপত্তা সুতার বান্ডেল, লেমিনেটিং মেশিন, কাটার, বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের লগো সম্পন্ন বিশেষ কাগজ জমা করেছিলেন। যা দিয়ে তারা কোরবানির ঈদের আগে কোটি জাল টাকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু কোটি টাকা বানানোর আগেই ধরা পড়ে গেছেন।

তাদের দু’জনসহ পাঁচজনকে আজ সোমবার দুপুরে ডিসি ডিবি মশিউর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের একাধিক টিম গুলশানের বাড্ডা থানাধীন নুরের চালা সাঈদ নগরের একটি সাততলা বাড়ির ষষ্ঠ তলায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী হেলাল খান, আনোয়ার হোসেন ও ইসরাফিল আমিন। কারখানাটি থেকে ১০০০ টাকা ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের প্রায় ৪৩ লাখ তৈরিকৃত জাল টাকা ও প্রচুর পরিমাণে জাল টাকা তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ফাতেমা বেগম ২০১৯ সালে হাতিরঝিল এলাকার একটি বাসায় জাল টাকার তৈরি করার সময় অপর সহযোগীসহ হাতে নাতে ধরা পড়লেও তার স্বামী রহিম পালিয়ে গিয়েছিলেন। গ্রেপ্তারকৃত অন্যরাও জাল টাকা, মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।

ডিসি মশিউর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, গ্রেতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা খুচরা এবং পাইকারি বিক্রি করার পাশাপাশি গত তিন বছর ধরে ঈদসহ অন্যান্য উৎসবের আগে আগে জাল টাকা তৈরির কাজে নিয়োজিত থেকে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি জাল টাকা বাজারে ছেড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। তাদের স্বামী স্ত্রীকে অর্থ দিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করছে বাল্যবন্ধু হেলাল খান। হেলাল খান এক সময় গার্মেন্টের ব্যবসা করলেও ইয়াবার নেশা এবং ইয়াবার ব্যবসা করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে লোকসানের শিকার হয়ে গার্মেন্ট ব্যবসা ছেড়ে দেন। পরে তিনি কক্সবাজার-টেকনাফ থেকে ইয়াবা ব্যবসার পাশাপাশি রহিম এবং ফাতিমাকে দিয়ে জাল টাকা তৈরির ব্যবসাও করাচ্ছে।

তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, জাল ১০০টি কাগজের নোটের এক বান্ডেল জাল টাকা তৈরি করতে ৭/৮ হাজার টাকা খরচ হয়। সেই টাকা প্রতি বান্ডেল পাইকারি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় চক্রের সদস্যদের কাছে বিক্রি করে। পাইকাররা আবার এগুলোকে প্রান্তিক পর্যায়ের বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতাদের কাছে প্রতি বান্ডেল ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। যা রুট পর্যায়ের জাল টাকার কারবারিরা কখনো কখনো গহনা, কখনো কাপড়চোপড়, ভোগ্য পণ্য এমনকি পশুর হাটে বিক্রি করে ছড়িয়ে দিয়ে থাকে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

kalerkantho

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com