1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে শিশু সাজিদের মৃত্যু, দীর্ঘ উদ্ধার অভিযানের অবসান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের ইচ্ছা, নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন অব্যাহত থাকবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হিসেবে দেখছে বিএনপি সরকারের উপদেষ্টাদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন বিএনপির কর্মশালায় নির্বাচন প্রস্তুতি জোরদারের আহ্বান গণতান্ত্রিক চর্চার বিকাশে চলমান সংস্কারকে গুরুত্ব দিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনসভা আয়োজনের নিয়মাবলি প্রকাশ ২৪তম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী উদ্বোধন, শিল্পচর্চায় স্বকীয়তা অর্জনের ওপর জোর

ছোটবেলায় কুলির কাজ করতেন, এখন ৩০০ কোটি টাকার কোম্পানির মালিক!

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১
  • ১৮৯ বার দেখা হয়েছে

পরিবারের খাবার জোগান দিতে স্কুল থেকে ফেরার পথে বাবার সঙ্গে কফির বাগানে কুলির কাজ করতেন মুস্তাফা। সেই ছোট্ট দরিদ্র বালকটি এখন ৩০০ কোটির একটি কোম্পানির মালিক। তার প্রতিষ্ঠান ‘আইডি ফ্রেশ ফুড’ বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কয়েক হাজার মানুষের খাদ্যের জোগান দেয়। স্থান পেয়েছেন ফোর্বসসহ বিশ্ব বিখ্যাত ম্যাগাজিনগুলোতে। তাকে নিয়ে প্রতিবেদন করেছে দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

২০০৫ সালে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ব্যাঙ্গালুরে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। চার কাজিন আব্দুল নাজের, শামসুদ্দিন টিকে, জাফর টিকে ও নওশাদ টিএর সঙ্গে মিলে তিনি এই কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা পিসি মুস্তাফার এবং বাকিগুলো কাজিনদের।

ছোটবেলায় কুলির কাজ করতেন, এখন ৩০০ কোটি টাকার কোম্পানির মালিক!

তারা ইডলি/ডোসা বাটার, পরোটা, চাপাতিস, দই এবং পনিরসহ সকালের নাস্তার জন্য একাধিক তাজা খাবার প্রস্তুত করে। পরে সেগুলো প্যাকেজিং করে অর্ডার অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। মোটকথা, কোম্পানিটির খাবার খেয়ে বর্তমানে অসংখ্য মানুষ তাদের দিন শুরু করেন। তবে এই অবস্থানে আসার পথ অতটা সহজ ছিল না।

স্কুল থেকে ফেরার পথে বাবার সঙ্গে কফির বাগানে চলে যেতেন মুস্তাফা। সেখানে পিঠ থেকে স্কুলব্যাগ নামিয়ে তুলে নিতেন ভারী কাঠের বাক্স এবং কুলির কাজ শুরু করতেন। ফলে সন্ধ্যায় আর পড়ায় বসার সুযোগ হতো না। রাজ্যের ঘুম চোখে ভীর করতো। ফলশ্রুতিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ফেল করে বসেন।

ছোটবেলায় কুলির কাজ করতেন, এখন ৩০০ কোটি টাকার কোম্পানির মালিক!

তখন তাদের পরিবারের অবস্থা এমন ছিল যে ঠিকমতো তিনবেলা খাবার জুটতো না। অসংখ্য রাত অভুক্ত থেকে কাঁটিয়েছেন। মা, বাবা দু’জনই ছিলেন নিরক্ষর। ফলে বিকল্প কোনো উপায়ও ছিল না। আর তিনিই এখন কয়েক হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করছেন। বছরে আয় করছেন প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।

মুস্তাফা জানান, সন্তান পড়াশোনা ছেড়ে কুলির কাজ করুক, এটা কোনো পিতা-মাতা চান না। কিন্তু আমার পরিবারে টিকে থাকার জন্য এটা ভিন্ন বিকল্প উপায় ছিল না।

ছোটবেলায় কুলির কাজ করতেন, এখন ৩০০ কোটি টাকার কোম্পানির মালিক!

মূলত ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ফেল করার পরই নিজের মধ্যে পরিবর্তনের তীব্র ইচ্ছা জাগে। সেই প্রেক্ষিতে শুরু করেন কঠোর পড়াশোনা। যার ফসল আসে দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করার মাধ্যমে। এভাবে কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরুপ দ্বাদশেও ভালো রেজাল্ট করে এনআইটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পান মুস্তাফা।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com