1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিবের আচরণে ক্ষোভ, দাবি বাস্তবায়নে জরুরি সিদ্ধান্ত অ্যাসোসিয়েশনের রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠে সেল্টার কাছে পরাজয়, চোট–কার্ডে জটিলতা বাড়ল পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা ও সাংবিধানিক বিধান নিয়ে আলোচনা জোরদার প্রাক্তন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ আসামির হাজিরায় ট্রাইব্যুনাল এলাকায় কড়া নিরাপত্তা থাইল্যান্ডের বিমান হামলায় সীমান্ত উত্তেজনা তীব্র, যুদ্ধবিরতি হুমকির মুখে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগে কওমি সনদধারীদের নতুন যোগ্যতা অন্তর্ভুক্ত বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে ধর্মীয় বিভাজন প্রসঙ্গ ও রাজনৈতিক কর্মসূচির দিকনির্দেশনা ডিইউজে নেতৃত্বকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুরক্ষায় আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান গাজা ভূখণ্ডের প্রশাসনিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্লেয়ার–নেতানিয়াহুর গোপন বৈঠক বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণে কেরানীগঞ্জের বিস্তৃত এলাকায় দিনের বেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে

ইভ্যালির অফিস বন্ধ, সাড়া নেই হটলাইনেও!

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০২১
  • ২২০ বার দেখা হয়েছে

বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বকেয়া থাকায় নতুন করে ইভ্যালির ভাউচারে অনেক প্রতিষ্ঠানই আর পণ্য সরবরাহ করছে না গ্রাহকদের। এমনকি তাদের মোবাইলে এসএমএস দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছে ইভ্যালির ভাউচারে তারা আর পণ্য সরবরাহ করবেন না। কারণ তারা ইভ্যালির কাছ থেকে পণ্যের দাম পাচ্ছে না। রঙ বাংলাদেশের পর পোশাকের ব্র্যান্ড জেন্টল পার্ক, ট্রেন্ডস, আর্টিসানসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ভাউচারে পণ্য সরবরাহ না করার কথা তাদের গ্রাহকদের জানিয়েছে।

ইতোমধ্যে সরবরাহ করা পণ্যের বকেয়া টাকার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং পণ্য না পেয়ে টাকা ফেরতের দাবিতে গ্রাহকরা ছুটে যাচ্ছেন ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে। তবে ইভ্যালির অফিসটি বেশ কিছুদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে এবং যোগাযোগের জন্য তাদের দেওয়া হটলাইনেও ফোন করলে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। ইভ্যালির ফেসবুক পেইজে ক্রেতা ও বিক্রেতারা নানা অভিযোগের কথা বলছেন।

এদিকে ইভ্যালিসহ ১৪টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে সিআইডি। এর মধ্যে ধামাকা নামের একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। পর্যায়ক্রমে অন্যগুলোর বিষয়েও একধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম এবং মার্চেন্টের পাওনা ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা ‘আত্মসাৎ ও পাচারের’ অভিযোগে ইতোমধ্যে ইভ্যালির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এর অংশ হিসেবে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবত ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে গিয়ে দেখা যায় সেটি বন্ধ। ইভ্যালি কার্যালয়ের সামনে প্রতিদিনই ক্রেতারা অগ্রিম দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য ভিড় করছেন। পণ্য সরবরাহকারী বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরাও ঘুরে যাচ্ছেন। কিন্তু ইভ্যালির অফিস তালাবন্ধ। সেখানে দুটি নোটিস ঝুলানো হয়েছে।

নোটিসে বলা হয়েছে, ইভ্যালির সশরীর গ্রাহকসেবা প্রদান বন্ধ থাকবে। অনলাইন গ্রাহকসেবা ও পণ্য সরবরাহ চালু থাকবে। ইভ্যালি কার্যালয়ে আসা গ্রাহকদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, তারা হটলাইনে ফোন করেও কোনো সাড়া পাচ্ছেন না। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর এক/দুই মাসের আগাম সময় নিয়ে প্রায় অর্ধেক মূল্যে পণ্য সরবরাহের বিভিন্ন অফার দেওয়া শুরু করেছিল ইভ্যালি। তাতে অল্প সময়ের মধ্যে সারাদেশে মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, এসি, প্রাইভেটকারসহ নানা পণ্যের ক্রেতাদের সমারোহ ঘটেছিল ইভ্যালিতে। স্বল্প মূল্যের এসব পণ্যের জন্য টাকা নেওয়া হতো অগ্রিম। কিন্তু কিছু ক্রেতাকে পণ্য দিয়ে বাকিদেরকে অপেক্ষায় রাখার কৌশল নিয়ে তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল বলে পরে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এসব অনিয়ম নিয়ে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে নানা কথা উঠলেও কোনো ব্যবস্থা তখন নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আইন ও নীতিমালা না থাকার কথা বলা হচ্ছিল সে সময়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ইভ্যালির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিলে কোম্পানিটির নানা অনিয়মের তথ্য প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, গত ১৪ মার্চ ইভ্যালি ডটকমের মোট সম্পদ ছিল ৯১ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার ৮৪৬ টাকা (চলতি সম্পদ ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৬ টাকা) এবং মোট দায় ছিল ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৪ টাকা। এর মধ্যে গ্রাহকের কাছে ইভ্যালির দায় ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬০ টাকা এবং মার্চেন্টের কাছে দায় ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৪ টাকা। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর ইভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুদককে অনুরোধ করা হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

চলতি মাসের শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক নীতিমালায় বলা হয়, অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোকে পণ্যের অর্ডার নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা সরবরাহ করতে হবে এবং ১০ শতাংশের বেশি অগ্রিম টাকা না নেওয়া যাবে না। এদিকে গ্রাহকের অসংখ্য অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইভ্যালির কাছে এসবের জবাব চেয়ে চিঠি দিয়েছে ই কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ই-ক্যাব। রেজিস্ট্রি ডাকে পাঠানো ওই চিঠির উত্তর চাওয়া হয়েছে সাত দিনের মধ্যে। জানতে চাইলে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com