করোনাভাইরাস মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৮৫ জনে। এদিকে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৩৬৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪ জনে। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ, যা গতকাল ছিল ৩০ দশমিক ৭৭।মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যা গতকাল ছিল ১ দশমিক ৬৫।
আজ শনিবার (৩১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ০১৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৭৮ হাজার ২১২ জন। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৯৭৬ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজার ৯৮০টি। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৭ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৪টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৩৪ জন পুরুষ এবং ৮৪ জন নারী। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৪ হাজার ০৩ জন এবং নারী ৬ হাজার ৬৮২ জন। এদের মধ্যে ১৫৬ জন সরকারি হাসপাতালে, ৪৯ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ১৩ জন বাসায় মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৬৭ জন। এছাড়া চট্টগ্রামের ৫৫, রাজশাহীতে ২২, খুলনায় ২৭, বরিশালে ১০, সিলেটে ৯, রংপুরে ১৬ এবং ময়মনসিংহে ১২ জন মারা গেছেন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১০০+ ২ জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের ১৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ৩৩, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ৬৬, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৩৭, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩৭, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৭ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের ০ জন এবং ০ থেকে ১০ বছরের ১ জন মারা গেছেন।
এর আগে শুক্রবার ২১২ জন, বৃহস্পতিবার ২৩৯ জন, বুধবার ২৩৭ জন, মঙ্গলবার ২৫৮ (একদিনে সর্বোচ্চ), সোমবার ২৪৭, রবিবার ২২৮, শনিবার ১৯৫, শুক্রবার ১৬৬ ও বৃহস্পতিবার ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহ দেশে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ পালন করা হয়। এ সময় সব ধরনের অফিসের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। ২১ জুলাই ঈদুল আজহা উপলক্ষে এই বিধিনিষেধ আট দিনের জন্য শিথিল থাকার পর ২৩ জুলাই থেকে আবার দুই সপ্তাহের লকডাউন চলছে। ঈদের ছুটিতে লাখ লাখ মানুষের শহর থেকে গ্রামে যাওয়া এবং তাদের ফিরে আসায় সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।