নিজস্ব প্রতিবেদককরোনার সংক্রমণ কমাতে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করে এর মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ৬ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধ কীভাবে কার্যকর করা হবে তা মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ঠিক হবে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ অন্তত আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে।
মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে মঙ্গলবারের ওই সভায় বর্তমান করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। একইসঙ্গে ৫ আগস্টের পর কীভাবে বিধিনিষেধ রাখা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই সভায় এক ডজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ১৬ জন সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তা ছাড়াও আইইডিসিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলমান বিধিনিষেধ একটু শিথিল করে আরও সাত দিন সারা দেশে তা কার্যকর করতে চায় সরকার। হঠাৎ করে পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ায় লাখ লাখ শ্রমিক গাদাগাদি করে কর্মস্থলে ফিরেছেন, এতে সংক্রমণের হার আরও বাড়বে। ফলে আপাতত বিধিনিষেধ থেকে বের হওয়ার বিকল্প দেখছে না সরকার।
করোনার সংক্রমণ কমাতে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রেখে গত ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করে সরকার। এরপর কোরবানির ঈদের আগে আট দিনের জন্য সব বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। গত ২৩ জুলাই থেকে ফের ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। শেষ ধাপের বিধিনিষেধের মধ্যে সব ধরনের শিল্প কলকারখানা বন্ধ রাখা হলেও গত রোববার থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।