1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
  3. jeradmin@deshmediabd.com : :
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ন

সারা দেশে সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১
  • ১০৩ বার দেখা হয়েছে

দেশজুড়ে সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৯ থেকে রাজধানীসহ সারা দেশের ১৫ হাজারের বেশি কেন্দ্রে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের প্রাধান্য দিয়ে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল থেকেই কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

বিকাল ৩টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইন চললেও মানুষের অনেক আগ্রহ থাকায় নির্ধারিত সময়ের টিকাদানের লক্ষ্য পূরণ হয়ে যাবে, বলছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

এই ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশের ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে একযোগে টিকা দেয়া হচ্ছে। এতে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকর্মী ও ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।

কোভিড-১৯ টিকা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, গ্রামে-গঞ্জে প্রচুর মানুষ টিকা নিতে এসেছে। আমরা মনে করি, এই গণটিকাদান কর্মসূচি মানুষের মধ্যে একটা উৎসাহ-উদ্দীপনার তৈরি করবে।

সংশোধিত কর্মসূচি অনুযায়ী এবার এক কোটি নয়, ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে। এই কার্যক্রম চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। স্বাস্থ্য দপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রমের কথা জানান। তিনি বলেন, দেশব্যাপী সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগে দুই দফা কার্যক্রমের কথা ঘোষণা করা হলেও শেষ মুহূর্তে এসে পরিবর্তন করা হয়।

স্বাস্থ্য দপ্তরের মহাপরিচালক জানান, সম্প্রসারিত টিকা কার্যক্রমের আওতায় ৪ হাজার ৬৪৪টি ইউনিয়ন, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভা এবং ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে টিকা দেয়া হবে। এতে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী ও ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ১৮ বছর নয়, ২৫ বছরের ঊর্ধ্বের জনগোষ্ঠীকে টিকা দেয়া হবে। তিনি বলেন, ১৮ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের অনেকেরই আইডি কার্ড নেই। এতে করে বিশৃঙ্খলা হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত এক কোটি ২৮ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ নিয়েছেন। নিবন্ধন করেছেন এক কোটি ৭৭ লাখ ৯৫ হাজার। হাতে পর্যাপ্ত টিকা নেই, অথচ আপনারা সম্প্রসারিত টিকা কার্যক্রম হাতে নিচ্ছেন কেন? এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেই এই কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। তাছাড়া আমরা ভেবেছিলাম, যদি ব্যাপক আকারে প্রচারাভিযান চালাতে না পারি, মানুষকে সচেতন করতে না পারি তাহলে কিভাবে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে সক্ষম হবো? বলা যেতে পারে, এটা একটা পাইলট প্রকল্প। আমরা নিজেদের সক্ষমতা যাচাই করে দেখতে চাই। আমরা এটাও দেখতে চাই, প্রান্তিক পর্যায়ে লোকজন কিভাবে এক দিনে কত টিকা দিতে পারেন।

মহাপরিচালক বলেন, টিকা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। সেটার সব দায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য দপ্তর নয়।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com