ফেনী প্রতিনিধিফেনীতে স্বর্ণ ডাকাতির মামলায় ডিবির ওসির ৪ দিন ও অপর ৫ পুলিশ কর্মকর্তার ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আবদুল্লাহ খানের আদালতে আসামিদের হাজির করে পুলিশ প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত এই নির্দেশ দেন।
এর আগে চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুরে তার গাড়ি থামিয়ে ২০টি স্বর্ণর বার ডাকাতি করেন ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তারা। এই ঘটনায় গোপাল কান্দি বাদী হয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবীর কাছ অভিযোগ করলে তিনি তদন্ত করে সত্যতা পান।
পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাইফুল ইসলাম ভুঞা, ৩ এসআই, ২ এএসআইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবি মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে জানান, গোপাল কান্তি নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী চট্টগাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে রবিবার রাতে ফেনীর ফতেপুর ওভারপাসের সামনে থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল তার কাছ থেকে ২০ টি স্বর্ণের বার নিয়ে গেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ার পর তাকে ডিবি পুলিশের সামনে হাজির করে চিহ্নিত করতে বললে গোপাল কান্তি তাদের ৪ জনকে চিহ্নিত করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপর দুই কর্মকর্তার নাম বলেন। পরে তাদের কাছ থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে ও তাদের আটক করা হয়েছে। তবে স্বর্ণগুলো বৈধ না অবৈধ তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও তিনি জানান।
এই ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় মঙ্গলবার রাতে ডাকাতির মামলা দায়ের করেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের স্বর্ণব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস রবিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুরে তার গাড়ি থামিয়ে ২০টি স্বর্নের বার ডাকাতি করেন ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তারা। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন ফেনীর জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, এসআই মো. মোতাহার হোসেন(পিপিএম), এসআই মো. মিজানুর রহমান, এসআই নুরুল হক, এএসআই অভিজিত বড়ুয়া এবং
এএসআই মাসুদ রানা।
ফেনীর কোর্ট ইন্সপেক্টর গোলাম জিলানী জানান, পুলিশ সকল আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ডিবির ওসি সাইফুল ইসলামের ৪ দিন ও বাকি কর্মকর্তাদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আমির হোসেন সুমন ও এডভোকেট খোরশেদ আলম রিমান্ড মঞ্জুরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে জানান, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তারা।