নিজস্ব প্রতিবেদক
টাকা পাচারকারী ও ঋণখেলাপি ব্যক্তির দুবাইয়ে বিলাসী জীবন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘তিনি (শাহজাহান বাবলু) আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটার। নির্বাচনী এলাকার সব মানুষ যে সৎ ও অসাধারণ হবে, এমন প্রত্যাশা করা ঠিক না।’
আজ বুধবার ক্রয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
অর্থ পাচারের মামলার পরও বিদেশে গেলেন কীভাবে, এর আগেও তাঁকে নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ এসেছে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলা চলমান। তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো লেনদেন নেই। তিনি নির্বাচনে আমাকে ভোট দিয়েছেন কি না, তা–ও জানি না। আমার জানামতে তিনি আমাদের দলও করেন না।’
দুইবায়ে নিজের বাসভবনে শাহজাহান বাবলু
দুইবায়ে নিজের বাসভবনে শাহজাহান বাবলু
বাংলাদেশের অর্থ পাচারের তদন্ত সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) অনুসন্ধান শেষে বলেছে, শাহজাহান বাবলু ব্যাংকের সহায়তায় বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। আবার রপ্তানি বিলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন ১৯০ কোটি টাকা। রপ্তানির বিপরীতে সরকারি নগদ সহায়তাও নিয়েছেন।
আর এখন দুবাইয়ে বিলাসী জীবন যাপন করছেন শাহজাহান বাবলু ও তাঁর পরিবার, যার পুরো অর্থই গেছে দেশ থেকে। সরকারি-বেসরকারি মালিকানায় পরিচালিত বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক থেকে লোপাট করা প্রায় ২০০ কোটি টাকার একটা অংশ এবং ভুয়া রপ্তানির বিপরীতে হাতিয়ে নেওয়া সরকারি ভর্তুকির টাকায় বিদেশে তিনি বিলাসী জীবন যাপন করছেন। অথচ তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আইনের আওতায় আনার কোনো উদ্যোগই সরকারি কোনো সংস্থার নেই। তাঁর বিরুদ্ধে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দুটি সংস্থা মামলা করেছে, এই যা।
আরও পড়ুন
পলাতক ঋণখেলাপির বিলাসী জীবন দুবাইয়ে
পলাতক ঋণখেলাপির বিলাসী জীবন দুবাইয়ে
এর আগে ২০১৯ সালে শাহজাহান বাবলুকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে ১৯ জুলাই অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘যদি তিনি (শাহজাহান বাবলু) করে থাকেন (টাকা পাচার), তিনি যেই হোন, যত শক্তিশালী হন, তাঁর বাড়ি যেখানেই হোক, তিনি যদি আমার পরিবারের সদস্যও হন, তবু তাঁকে আইনি প্রক্রিয়ায় আসতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। আপনারা দেখতে পাবেন।’