মাদক মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরীমণির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার বেলা তিনটায় এ মামলার শুনানিতে আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশে মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এ মামলার অপর আসামি প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ, মরিয়ম আক্তার মৌ ও সবুজ আলীর বিষয়ে শুনানি চলছে আদালতে।
এর আগে শুক্রবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে পরীমণি, আশরাফুল ইসলাম দীপুসহ পাঁচজনকে নিয়ে মাইক্রোবাসে করে সিআইডি কার্যালয় থেকে রওনা দেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। ১১টা ৪০ মিনিটে মাইক্রোবাসটি আদালত চত্বরে পৌঁছে। সেখানে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয় তাদের।
এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা আসামিদের জামিন না দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। এতে বলা হয়েছে, দু’দফা রিমান্ডে পরীমণি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য দিয়েছেন। তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আসামি শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমনি ওরফে পরীমণিকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।
আবেদনে আরও বলা হয়, আসামি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও আছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পরীমণি গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। এটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলহাজতে আটকে রাখা একান্ত প্রয়োজন।
এদিকে পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত তার জামিন আবেদন করেছেন। তিনি রিমান্ড আবেদন বাতিল করে পরীমণিকে জামিন দেওয়ার আবেদন করেছেন আদালতে।
গত ৪ আগস্ট পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে ও দীপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে র্যাব। মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। ওই মামলায় মঙ্গলবার আদালত পরীমণি ও তার মামা দীপুকে দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মডেল-অভিনেত্রীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে ১৪টি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। পরীমণিসহ গ্রেপ্তার ৮ জনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মডেল-অভিনেত্রীদের হেফাজত থেকে জব্দ করা ছয়টি দামি গাড়ি নিয়েও তদন্ত চলছে।