বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
আপা বলে সম্বোধন করায় এক সেবাগ্রহীতার ওপর ক্ষেপেছেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াছমিন (৩৫)। রাগান্বিত হয়ে তিনি তাঁকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করতে বলেছেন। ওই সেবা গ্রহীতা পরে সেই ঘটনা ফেসবুকে তুলে ধরেছেন।
সেবা গ্রহীতার নাম জামাল উদ্দিন (৪৫)। বুড়িচং উপজেলার ভরাসার বাজারের একজন ব্যবসায়ী। তিনি তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের সাধারণ জনগণকে স্যার বলতে হবে- এটা কি বাধ্যতামূলক? এই বিষয়ে সরকারের কোনো আইন আছে কি? ফেক্ট: বুড়িচং উপজেলার UNO (মহিলা) কে আপা বলার কারণে খুব রাগান্বিত হয়েছেন। এটা নাকি office address না, আপা না বলে মা ডাকতাম। আমি লজ্জিত। দেশটা কি মগের মুল্লুক?’
এ বিষয়ে জামাল উদ্দিনের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, গতকাল সোমবার দুপুরে জন্মনিবন্ধন সংক্রান্ত একটি কাজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে যাই। এ সময় আমার সমস্যা তুলে ধরে সমাধান চাওয়ার সময় ইউএনওকে আপা বলে সম্বোধন করি। এতে তিনি উত্তেজিত হয়ে যান। তখন তিনি আমাকে উদ্দেশ করে বলেন, স্যার ডাকতে না পারলে মা ডাকবেন। এ ঘটনায় আমি বিব্রত হই। এ সময় কয়েকজন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
সেবাগ্রহীতাদের অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইউএনও সাবিনা ইয়াছমিনকে স্যার বলে সম্বোধন না করলে তিনি ক্ষেপে যান।
ঘটনার সত্যতা জানতে বুড়িচং উপজেলার ১ নম্বর রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনা সত্য। স্যার না বলায় ইউএনও মহোদয় ক্ষেপে যান।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হয় ইউএনও সাবিনা ইয়াছমিনের সঙ্গে। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উনি বয়স্ক মানুষ। তাই উনাকে বলেছি, আপু না ডেকে মা ডাকতে। একজন বয়স্ক মানুষ কেন আপু ডাকবে। মা ডাকবে। ম্যাডাম বলতে পারে অথবা ইউএনও সাহেবও ডাকতে পারে। এ কথাই বলেছি। আর যদি কেউ কোনো নারীকে দেখলেই আপা ডাকে তাহলে বুঝতে হবে, তাঁর চরিত্রে সমস্যা আছে। আমি স্যার বলতে বলিনি।