করোনাকালীন সময়ে ডিজেল ও কেরোসিন এবং লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম কমিয়ে পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে জনস্বার্থ রক্ষা জাতীয় কমিটি। শুক্রবার সংগঠনটির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বুলু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ডিজেল ও কেরোসিন এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোয় জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। জনগণ ক্ষোভে ফুঁসছে। অবিলম্বে ডিজেল ও কেরোসিন এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা স্থগিত করুন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা না করে বেসরকারি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করেছে। গ্যাস সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণের জন্য সম্প্রতি বিইআরসি গণশুনানি করেছে। সেখানে ভোক্তা সংগঠন ক্যাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি যেসব অভিমত দিয়েছিল, জনস্বার্থ বিবেচনায় সেগুলো বিইআরসির সিদ্ধান্তে প্রতিফলিত হয়নি। বেসরকারি সিলিন্ডারের দাম কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করে খুচরা বাজারে তা কার্যকর করার দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে আমিনুল ইসলাম বুলু বলেন, ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম কোনোভাবেই ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকার বেশি হতে পারে না। অথচ এর আগে অক্টোবরেই ১২ কেজির একেকটি সিলিন্ডারের মূল্য ১০৩৩ টাকা থেকে বেড়ে ১২৫৯ টাকা করা হয়। এক মাসের মধ্যে আবারো দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলো যা খুবই দুঃখ জনক । এমনকি খুচরা বাজারে সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর নেই। অনেক বেশি দামে জনগণকে কিনতে হয়। বিবৃতিতে অবিলম্বে ডিজেল ও কেরোসিন এবং এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমিয়ে সর্বোচ ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা নির্ধারণ করে খুচরা বাজারে তা কার্যকর করার দাবি জানানো হয়। বুলু আরো বলেন, পৃথিবীর সব গণতান্ত্রিক দেশে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিতে ভর্তুকি দেয়া হয়। সরকার ভর্তুকি দেয় জনগণের টাকায়। কারণ এসব ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসসহ জীবনযাত্রার মান সহজ ও স্বস্তিদায়ক রাখা হয়। কিন্তু গ্যাসের দাম বাড়ায় এর প্রভাব সর্বত্র পড়তে শুরু করেছে।