করোনা মহামারির প্রকোপ কমিয়ে আসায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার মধ্যেই রোববার (১৪ নভেম্বর) থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। ২০২১ সালের শিক্ষার্থীদের এই পরীক্ষায় অংশ নেবে মোট ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন।
এরমধ্যে এসএসসিতে ১৮ লাখ ৯৯৮ জন, দাখিলে তিন লাখ এক হাজার ৮৮৭ জন এবং ভোকেশনালে এক লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।
গত বছরের তুলনায় এবছর পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন। পরীক্ষার্থী বাড়ার হার ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৫১টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ১৬৭টি।
রোববার (১৪ নভেম্বর) থেকে এসএসসি পরীক্ষার তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ২৩ নভেম্বর।
এসএসসিতে ১৪ নভেম্বর সকালে পদার্থ বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), ১৫ নভেম্বর সকালে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এবং বিকেলে হিসাব বিজ্ঞান, ১৬ নভেম্বর রসায়ন (তত্ত্বীয়), ১৮ নভেম্বর শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া (তত্ত্বীয়), ২১ নভেম্বর সকালে ভূগোল ও পরিবেশ এবং বিকেলে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ২২ নভেম্বর উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) বিকেলে জীব বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), ২৩ নভেম্বর সকালে পৌরনীতি ও নাগরিকতা এবং অর্থনীতি, বিকেলে ব্যবসায় উদ্যোগ বিষয়ের পরীক্ষা হবে।
সকালের পরীক্ষা ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা এবং বিকেলের পরীক্ষা বেলা ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
ব্যবহারিক পরীক্ষার বিষয়ে বলা হয়, স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতার নম্বর দিয়ে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে।
পরীক্ষা উপলক্ষে গত ২৭ অক্টোবর সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, করোনা মহামারির মধ্যে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া ৩০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।
মহামারির মধ্যে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষার সময়ে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা দিতে পারবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মহামারির কারণে এবছর আবশ্যিক বিষয় বাদে নৈর্বাচনিক বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষায় বিষয় কমানোয় মূল্যায়নের সমস্যা হবে কিনা- প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় না। গতবছর আমরা সাবজেক্ট ম্যাপিং করে যেটা করেছি সেটার সঙ্গে তার আগের তিন বছরের ফলাফল মিলিয়ে দেখেছি। মনে হয় যেন পরীক্ষা নিয়েই ফলাফল দেওয়া হয়েছে। এতটাই সামঞ্জস্যতা ছিল।
পরীক্ষাচলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়া গুজব নিয়ে পদক্ষেপ সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারাই এ ধরনের গুজবের সঙ্গে জড়িত থাকবে কিংবা প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকলে গোয়েন্দা সংস্থা তীক্ষ্ণ নজরদারি করছে। যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরীক্ষার কারণে ৮-২৫ নভেম্বর সারাদেশে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।