নিজস্ব প্রতিবেদক
জমে উঠেছে রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হওয়া ১৩তম এশিয়া ফার্মা ও এশিয়া ল্যাব এক্সপো। গতকাল প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থীর পদচারণে মুখরিত ছিল মেলাপ্রাঙ্গণ। অধিকাংশ দর্শনার্থী ছিলেন ওষুধ ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি। ছিলেন ফার্মাসি শিক্ষার্থীরাও। মেলায় এক ছাদের নিচেই মিলছে ওষুধশিল্পের সর্বাধুনিক সব প্রযুক্তি, উপকরণ ও মেশিনারি। তিন দিনের এ প্রদর্শনী চলবে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
দেশি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ওষুধশিল্পের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পরিচয় করিয়ে দিতে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি, জিপিই এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড ও অ্যালিয়েন্ট লিমিটেড যৌথভাবে এ মেলার আয়োজক। বাংলাদেশসহ ২২ দেশের ৩৫৬ কোম্পানি তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে জড়ো হয়েছে এক ছাতার নিচে। গতকাল বিকালে মেলা ঘুরে দেখা যায়, কেউ খুঁজছেন ভালোমানের ক্যাপসুল প্যালেট, কেউ আবার ট্যাবলেট প্যাকেজিংয়ের সর্বাধুনিক মেশিন। গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি উপাদান খুঁজতে এসেছেন অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। বিভিন্ন স্টলের প্রতিনিধিরা তাঁদের পণ্য সম্পর্কে দর্শনার্থীদের অবহিত করছেন। অনেক দর্শনার্থী নিজের প্রতিষ্ঠানের জন্য কাক্সিক্ষত পণ্য ও মূল্যছাড় পেয়ে মেলাতেই চুক্তি করে ফেলেছেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। মেলায় আসা ওয়ান ফার্মা লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (সাপ্লাই চেইন) খালেদ মাহমুদ মজুমদার বলেন, ‘করোনার কারণে গত বছর মেলাটি হয়নি। এ কারণে মেলার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি। ফার্মা ইন্ডাস্ট্রি প্রতিদিনই বদলায়। নতুন নতুন প্রযুক্তি আসে। সারা পৃথিবী ঘুরে ঘুরে এগুলো খোঁজা কঠিন। মেলায় বিভিন্ন কোম্পানি তাদের সর্বশেষ উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়েছে। গত দুয়েক বছরে নতুন কী উদ্ভাবন হলো, এক জায়গা থেকেই জানা যাচ্ছে। এখানে ওষুধশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জ্ঞান বিনিময় করতে পারছেন। এবার চীনা কোম্পানি কম দেখা যাচ্ছে। তবে বেশ কিছু বড় সাপ্লাইয়ার এসেছে। এখানে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে আমাদের ডিল হয়েছে। কিছু মূল্যছাড়ের চেষ্টা করছি।’ আয়োজকরা জানান, ক্রেতা ও সেবা সরবরাকারীদের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরির জন্যই এ প্রদর্শনী। বিশ্বে প্রতিনিয়ত ওষুধশিল্পে নিত্যনতুন প্রযুক্তি আসছে। এখানে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তাদের বিশেষায়িত পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছে। ওষুধশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা এখানে এক ছাদের নিচে প্রয়োজনীয় পণ্য ও প্রযুক্তি যাচাই করার সুযোগ পাচ্ছেন। বিশেষায়িত মেলা হওয়ায় এখানে দর্শনার্থীও বিশেষায়িত। বিশেষ করে ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ওষুধ প্রস্তুতকারক, ফার্মাসিস্ট, গবেষক, করপোরেট ম্যানেজমেন্ট, প্লান্ট ইঞ্জিনিয়ার, ফার্মেসি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা, ওষুধশিল্পের প্রযুক্তি ও মেশিনারি উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী ও আমদানিকারকরাই এ মেলার দর্শনাথী।