আওয়ামী লীগের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের আজ রোববার বিকেলে আদালতে আত্মসমর্পণ করার কথা রয়েছে।
দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া সত্ত্বেও চিকিৎসার জন্য বিদেশ সফরে যাওয়ায় সম্প্রতি ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছিল।
হাজী সেলিমের আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ রাজা জানান, দুপুর ২টার দিকে তিনি বিশেষ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলামের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হাজী সেলিম গত ২ মে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে যান এবং ৫ মে দেশে ফেরেন।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি তার ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে ট্রায়াল কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে হাইকোর্ট।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে এবং তার জামিন আদেশ বাতিল করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, এই রায়ের পর সংবিধানের ৬৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাজী সেলিম এমপি থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ মার্চ বিচারপতি মোঃ মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ নিম্ন আদালতের ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ বহাল রাখেন।
একই সঙ্গে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা একই মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য।
হাজী সেলিমের জরিমানা অর্ধেক কমিয়ে ১০ লাখ টাকা করেছেন হাইকোর্ট। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে আরো এক বছর জেল খাটতে হবে।
২০০৭ সালে সেলিমের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকার একটি আদালত তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান সেলিম।
২০১১ সালে আদালত তার সাজা বাতিল করে, তবে দুদক পরে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।
পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টে আবেদনের পুনঃশুনানি করতে বলেন।
২০২০ সালে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার জন্য তার ছেলে ইরফান সেলিমকে গ্রেফতার করার পর সেলিমের অনিয়ম আবারো আলোচিত হয়।