নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে (২৩ ডিসেম্বর ) শুক্রবার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আবদুর রাজ্জাকের ১১ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ঢাকায় বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন, রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার নির্বাচনী এলাকা শরীয়তপুরেও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সকালে বনানীতে আব্দুর রাজ্জাকের কবরে পরিবারের সদস্য, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও শরীয়তপুর ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বুলু বলেন- আব্দুর রাজ্জাকের অবদান বাঙালি জাতির স্মৃতিতে অম্লান থাকবে চিরদিন। বঙ্গবন্ধুসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্র্রেফতার হওয়ার পর ৬-দফাকে জনপ্রিয় করে তোলার ব্যাপারে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া তিনি আধুনিক শরীয়তপুরের রূপকার। মনেপ্রাণে সব সময় দেশের ও এলাকার উন্নয়ন নিয়ে ভাবতেন।
শরীয়তপুর ফাউন্ডেশনের মহাসচিব বাচ্চু বেপারী বলেন– আবদুর রাজ্জাক তরুণ বয়সেই সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জয় করেছিলেন। হাজারো কর্মীর মধ্যে আবদুর রাজ্জাককেই বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘আমার রাজ্জাক’। কোথাও কোন সাংগঠনিক সংকট দেখা দিলে তা সমাধানের জন্য তখন আবদুর রাজ্জাজকে দায়িত্ব দেয়া হতো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আ. রহমান কবির, মোঃ মিজান উকিল, মো: সালাম, রহিম মাঝি, মোস্তাফিজুর রহমান আনসারী সুমন, দিন ইসলাম, অক্সফোর্ড গ্রামার স্কুলের অধ্যক্ষ মো. ফিরোজ আলম, নুর আলম, গোলাম মোস্তফা, মুন্না প্রমুখ।