সারা বিশ্বে ইন্টারনেট ভিত্তিক শ্রমশক্তির ১৫ ভাগ রয়েছে বাংলাদেশে। যাদের সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখের বেশি। বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট
রিপোর্ট-২০১৯: দ্য চেঞ্জিং নেচার অব ওয়ার্ক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উঠে এসেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনে প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে কাজের প্রকৃতি পরিবর্তনের বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নত বিশ্বে দক্ষ শ্রমিকের অনেক চাহিদা বেড়েছে। উন্নয়নশীল দেশেও এর চাহিদা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। ২০০০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়া, বলিভিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় দক্ষ জনশক্তির চাহিদা প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু মধ্য ও নিম্ন দক্ষতা সম্পন্ন শ্রমিকের চাহিদা সেভাবে বাড়েনি। ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময়কালে জর্ডানে আধা-দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বেড়েছে মাত্র সাড়ে ৭ ভাগ। অন্যদিকে বাংলাদেশে এর চাহিদা না বেড়ে উল্টো ২০ ভাগ কমেছে। এসময়কালে বাংলাদেশে নিম্ন দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক হারে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিশ্বকে এখন মানবসম্পদ খাতে আরো বিনিয়োগ করতে হবে। শিশুকাল থেকেই তাদের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। প্রতিবেদনে উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে যে শিশুরা প্রাক প্রাথমিক স্কুলে গিয়েছে তারা পরবর্তীতে স্কুল শিক্ষায় ভালো ফল করেছে। শিশুদের পেছনে বিনিয়োগ করা হলে সেটি পরবর্তীতে ভালো ফল বয়ে আনে।