1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
  3. jeradmin@deshmediabd.com : :
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন

বায়ুদূষণ রোধে বাংলাদেশের জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩
  • ৫৭ বার দেখা হয়েছে

বিশ্বব্যাংকের একটি নতুন প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বিশুদ্ধ বায়ু নিশ্চিত করার জন্য অর্থনৈতিকভাবে সম্ভব, সাশ্রয়ী সমাধান রয়েছে। তবে এর জন্য চাই দেশগুলোর মধ্যে নীতিমালা ও বিনিয়োগের সমন্বয়। প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের ১০টি সর্বাধিক বায়ু দূষণ শহরের মধ্যে নয়টিই দক্ষিণ এশিয়াতে, এবং ঢাকা এদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে মোট অকাল মৃত্যুর ২০ শতাংশ’র জন্যই দায়ী এই বায়ু দূষণ।
‘স্ট্রিভিং ফর ক্লিন এয়ার : এয়ার পল্যুশন এন্ড পাবলিক হেলথ ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনটি আজ ঢাকায় উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, এই অঞ্চলের কিছু অতি ঘনবসতিপূর্ণ ও দরিদ্র এলাকার বায়ূকণা যেমন ঝুল এবং ধূলিকণা (পিএম২.৫) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত নিরাপদ মানদ-ের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। দক্ষিণ এশিয়ায় এই বায়ু দূষণ প্রতি বছর আনুমানিক দুই মিলিয়ন লোকের অকাল মৃত্যু ঘটনায় ও এর কারণে অর্থনৈতিক ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়। মারাত্মক বায়ু দূষণের ফলে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ব্যহত হয়, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ দেখা দেয় এবং এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগে মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে। এটি একটি দেশের স্বাস্থ্যসেবা খরচ বাড়ায়, উৎপাদন ক্ষমতা কমিয়ে দেয় ও কর্মঘন্টা হ্রাস করে দেয়।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুলায়ে সেক বলেন, ‘বায়ু দূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। এমন অনেক নজির রয়েছে যে অঙ্গিকার, সঠিক পদক্ষেপ ও নীতিমালা গৃহিত হলে, এই বায়ু দূষণ মোকাবিলা করা সম্ভব। বাংলাদেশ বাতাসের গুণমান ব্যবস্থাপনা বাড়াতে ইতোমধ্যেই বায়ূ দূষণ নিয়ন্ত্রন আইনসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জাতীয় পর্যায়ে এই শক্তিশালী পদক্ষেপের পাশাপাশি আন্তঃসীমান্ত সমাধান এই বায়ু দূষণ হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি বড় এয়ারশেড চিহ্নিত করা হয়েছে- যেখানে স্থানিক বাতাসের গুণমানে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বেশি। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে বিস্তৃত একটি সাধারণ এয়ারশেডের আওতাভুক্ত। প্রতিটি এয়ারশেডের বায়ূকণা বিভিন্ন উৎস ও অবস্থান থেকে আসে। উদাহরণস্বরূপ- ঢাকা, কাঠমান্ডু এবং কলম্বোর মতো শহরে, শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট শহরের মধ্যে থেকেই এক-তৃতীয়াংশ বায়ু দূষণ সৃষ্টি হয়। এই বায়ু-দূষণের আন্তঃসীমান্ত প্রকৃতি বিবেচনায় নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশ- বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান এই ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভুমি ও হিমালয় পাদদেশের বাতাসের মানউন্নয়নের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো একসাথে কাঠমা-ু রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক সমন্বয় পরিচালক সিসিল ফ্রুম্যান বলেন, ‘বায়ু দূষণ একটি শহর, রাজ্য বা জাতীয় সীমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অল্পকিছু সংখ্যক দেশ বাতাসের মানউন্নয়নে নীতি গ্রহণ করেছে। কিন্তু জেলা ও গ্রাম পর্যায়ে পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি, প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সমন্বয় করে পদক্ষেপ গ্রহণ করাও অতিজরুরি।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে পাওয়ার প্ল্যান্ট, বড় কারখানা ও পরিবহনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে চলমান নীতিগত পদক্ষেপগুলো যদি দক্ষিণএশিয়াজুড়েও সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলেও শুধুমাত্র পিএম২.৫ হ্রাসের মতো আংশিক সাফল্য আসবে। বৃহত্তর অর্জনের লক্ষ্যে অন্যান্য খাত- বিশেষ করে ছোট উৎপাদন, কৃষি, আবাসিক রান্না এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপরও নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি দেয়া উচিৎ।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com