ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানে তরুণদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানটিতে সারা দেশ থেকে বাছাই করা ১৫০ জন তরুণ অংশগ্রহণ করবেন।
আগামী ১৬ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ আয়োজন করা হবে গণভবনে। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বেশ কিছু টেলিভিশন চ্যানেল। নতুন প্রজন্ম ও বাংলাদেশ নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনার কথা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে শুনবেন তরুণদের স্বপ্নের কথা, স্বপ্ন পূরণের কথা ও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কথা।
বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের তরুণদের কাছে সবচাইতে জনপ্রিয় নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর কেন তরুণদের কাছে তার জনপ্রিয়তা, সেটি আরও একবার প্রমাণ করতে ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হচ্ছেন তিনি।
অংশগ্রহণকারী তরুণের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী বিষয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন পেশাজীবী, চাকরিজীবী, উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং দেশ গঠনে উদ্যমী তরুণ প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবে এই আয়োজনে।
তরুণদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ, ভবিষ্যতে উন্নত এক বাংলাদেশ গড়ায় বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা এবং সার্বিকভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সুযোগ পাবেন এই তরুণরা।
বরাবরের মতই তরুণদের কথা শুনতে এবং তাদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে চেষ্টা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আর সে কারণেই তরুণদের সঙ্গে তার এই আয়োজন।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রধানমন্ত্রী তরুণদের মুখোমুখি হচ্ছেন। তিনি এ অনুষ্ঠানে সরাসরি তরুণদের বিভিন্ন মতামত গ্রহণের পাশাপাশি তাদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করবেন। শুধু তাই নয়, বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দিতে এ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা তার তারুণ্যের সময় নিয়ে নতুন বেশ কিছু তথ্য জানাবেন। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর জীবনযাপন নিয়েও আলোচনা হবে এই আয়োজনে। ব্যক্তিগত জীবন, নিজস্ব চিন্তা ভাবনা ইত্যাদি নিয়েও তরুণদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে সিআরআইএর সিনিয়র বিশ্লেষক ও সমন্বয়ক ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ বলেন, ‘তরুণরা যাতে দেশের নীতি নির্ধারকদের সাথে খোলামেলা ভাবে আলোচনা করতে পারেন এবং নিজেদের ভাবনা ও সমস্যাগুলোর কথা নীতি নির্ধারকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন সে জন্য সিআরআই নিয়মিত আয়োজন করে আসছে ‘লেটস টক’।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদকে নিয়ে এর আগে বেশ কয়েকবার ‘লেটস টক’ আয়োজন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আয়োজন করা হচ্ছে ‘লেটস টক’। তরুণদের জন্য এটি ভিন্নমাত্রার এক আয়োজন। আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “তরুণদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তিনি বর্তমানকে উৎসর্গ করেছেন।” সুতরাং বোঝাই যায় তরুণদের জন্য কতটা আন্তরিক তিনি। আর সে কারণেই সিআরআই-এর এই আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।’
ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় চেষ্টা করেছেন সাধারণ মানুষের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে। আর সে কারণেই সাধারণ মানুষের লেখা চিঠি পড়েন তিনি। শুধু তাই নয়, এসব চিঠির উত্তরও প্রদান করেন তিনি। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় প্রশ্ন করা হলে তিনি উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা নিয়ে বারবার গুরুত্বারোপ করেছেন।