প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘নির্বাচন আর পেছানোর কোনো উপায় নেই। ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হবে, এটা একেবারে কমপ্যাকট টাইম। এই তারিখকে সামনে রেখে কাজ করে যেতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় সিইসি এ কথা বলেন।
সিইসি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন। প্রার্থী ও দলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে নেবেন না। আইনের মধ্য থেকে তাঁদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন এবং সহযোগিতা করবেন। আপনাদের কোনো কাজ যেন ভোটারদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি না করে।’
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কারও সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করবেন না। রাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করবেন না। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কোনো শো-ডাউন যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখবেন।’
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘দায়িত্বে শৈথিল্য দেখাবেন না। প্রয়োজন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেবেন।’
এ সময় নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন জেলা থেকে আসা রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ পাওয়া জেলা প্রশাসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল সোমবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবির মুখে ভোটের তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে নির্বাচনের তফসিল পুনর্নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পুনর্নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২ ডিসেম্বর। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর। আগে এই তারিখ ছিল ২৩ ডিসেম্বর। গতকাল সকালে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে তফসিল পুনর্নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত হয়। বিকেলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি।