৯০ দর্শকের তৎকালীন সময়ে ঢাকায় আসার কিছুদিন পর আদম ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে সাধারণ নিরীহ মানুষদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক বনে যায় ইকবাল হায়দার চৌধুরী। পরবর্তীতে গাঙ্গুলি নাসিরের সাথে হাত মিলিয়ে পুরোদমে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে মাদক এনে দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করার পাশাপাশি অবৈধভাবে বিপুল অর্থের মালিক বনে যান। তার সুনির্দিষ্ট কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকা সত্ত্বেও এসব অবৈধ ব্যবসা ও অনিয়ম করে ঢাকার সেগুনবাগিচায় নিজ নামে এবং তার স্ত্রী রুবিনা পারভীনের নামে তিন-চারটি ফ্ল্যাট, ধানমন্ডিতে দুটি ফ্ল্যাট, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক হন। একপর্যায়ে সে গোল্ডেন মনিরের সাথে সোনা-চোরাকারবারি ব্যবসায় লিপ্ত হয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হন। সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড এবং একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানির পরিচালক হয়ে ওঠে। দুবাইতেও তার একটি আবাসিক হোটেল রয়েছে বলে জানা যায়।
ঢাকার সেগুনবাগিচা আকরাম টাওয়ারে অবস্থিত ইকবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন নামক প্রতিষ্ঠানের আড়ালে অর্থ পাচার ও মানিলন্ডারিং মাধ্যমে এবং হুন্ডি ব্যবসা করে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন করছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন পুর্বে তার ড্রাইভার সুমন দোহার যাওয়ার পথে বিভিন্ন রকম দেশি-বিদেশি অর্থসহ ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বিপুল পরিমান অর্থ খরচ করে সেই মামলা থেকে চতুরতার সাথে অব্যহতি নিয়ে আসে।
মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ইকবাল হায়দার চৌধুরীর পিতা আজিজুল হক চৌধুরী রাজাকার আলবদর বাহিনীর সহচর হয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জন্য নারী সরবরাহ, খুন, হত্যা ধর্ষণসহ হানাদারদের সাথে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। সরজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ইকবাল হায়দার চৌধুরী মুখোশের আড়ালে এভাবে অসংখ্য অনিয়ম ও দেশ বিরোধী কর্মকান্ড এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এলাকাবাসীর দাবি তার বিরুদ্ধে ওঠা এসব তথ্য আমলে নিয়ে যাতে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।