রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এক বছরের বেশি সময় অস্থিরতা চলছে। এর মূল কারণ অধ্যক্ষের পদ দখল। এ পদটি দখলে থাকলে ৩৮ হাজার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আয় এবং নানান কাজের ব্যয়ের টাকার ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা যায়। তাই একজন জুনিয়র শিক্ষককে ওই পদে বসিয়েছিলেন স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা। এরপর প্রায় ১৫ বছর চলে দখলদারিত্ব।
সম্প্রতি গণেশ উলটে যায় সংশ্লিষ্টদের অতি লোভের কারণে। শতভাগ কবজায় নিতে ‘এমপিওভুক্ত’ প্রতিষ্ঠানটিকে ‘ট্রাস্টের’ অধীনে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এতে ফুঁসে ওঠেন দীর্ঘদিন নিপীড়িত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তারা আন্দোলনে নামেন। অভিযোগ তদন্ত করে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। উচ্চ আদালতে একাধিক মামলা হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেটের বাইরের একজন সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। কিন্তু পরিচালনা কমিটি সম্প্রতি আরেকজনকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করে। এ নিয়ে ফের অস্থিরতা শুরু হয়। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে তদন্ত চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটিতে সাবেক অধ্যক্ষ এবং অফিস সহকারী হুমায়ুন রশিদসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা লুটের অভিযোগ পড়েছে। পাশাপাশি আছে অন্যান্য দুর্নীতি ও সরকারের রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু মনিপুরই নয়, রাজধানীসহ দেশের প্রায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই একইভাবে চলছে লুটপাট। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষক-কর্মচারীদের দুর্নীতিবাজ অংশ মিলে তৈরি করে সিন্ডিকেট। দুর্নীতি নির্বিঘ্ন করতে এই অপরাধীরা প্রথমেই প্রতিবাদী শিক্ষক-কর্মচারীদের নিপীড়ন শুরু করে।
কাউকে বরখাস্ত, কাউকে শোকজ বা বেতন বন্ধ করে দেয়। এছাড়া বেয়াদব শিক্ষক-কর্মচারীদের লেলিয়ে দেওয়াও হয়। এভাবে নানাভাবে চাপে রেখে দুর্নীতিবাজরা লুটপাটের মহোৎসবে মেতে ওঠে। যুগান্তরের অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।বিস্তারিত