বিশ্বে ৩১০ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যকর খাবার কেনার সামর্থ্য নেই। ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ‘এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের খাদ্য অধিকার এবং কৃষি খাদ্যব্যবস্থা সম্মেলন ২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৭ সাল থেকে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে (এফএও, ২০২২)। ২০২১ সালে বিশ্বের তিনজনের মধ্যে প্রায় একজন অর্থাৎ ২৩৭ কোটি মানুষের পর্যাপ্ত খাবারে প্রবেশাধিকার ছিল না এবং ২০২০ সালে প্রায় ৩.১ বিলিয়ন মানুষ পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারেনি। ২০২২ সালে অক্সফ্যাম প্রতিবেদনে প্রকাশ করে যে, কোভিড-১৯ মহামারী, পরিবেশগত অবক্ষয় এবং বৈষম্যের মধ্যে অপুষ্টির শিকার। মানুষের জন্য খাদ্য সংকট বড় অন্তরায় হিসেবে যোগ হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এফএও, ২০২২-এর গবেষণায় বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি পরিস্থিতির চিত্রে প্রতীয়মান হয়, প্রায় ৩১০ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যকর খাদ্য ক্রয়ের সামর্থ্য নেই। আবার যেখানে বিশ্বের জনসংখ্যার ৩০.৪ শতাংশ অর্থাৎ ২৪০ কোটি মানুষ মাঝারি বা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছে।
৭৫টি দেশের মানবিক বিভিন্ন সংস্থা ৭৭তম জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের কাছে প্রদত্ত চিঠিতে অনুমান করেছে যে, প্রতি চার সেকেন্ডে একজন মানুষ ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে (অক্সফ্যাম ইন্টারন্যাশনাল, ২০২২)। বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে প্রত্যেকের পর্যাপ্ত খাবারের চেয়ে বেশি উৎপাদন হলেও তথ্য এবং যোগানের অভিগম্যতার অভাবের কারণে মহামারী, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা আবার ব্যাপকভাবে লিঙ্গ বৈষম্যকে নির্দেশ করে, যা শুধুমাত্র নারীদেরই নয় বরং তাদের শিশুদেরও প্রভাবিত করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আগামী ২৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব নবাব আলী সিনেট ভবনে দুই দিনব্যাপী ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের খাদ্য অধিকার ও কৃষি খাদ্যব্যবস্থা সম্মেলন ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে।ইতোমধ্যে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ নেটওয়ার্ক-এর মাধ্যমে সারা দেশের সহস্রাধিক সংগঠন এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে। সম্মেলন উপলক্ষে আগামী ৭-২০ জুন দেশব্যাপী প্রচারাভিযান কর্মসূচি হবে।