হ্যাপি আক্তার : দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা যদি স্থগিতও করা হয়, তারপরও তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না তা নিয়ে দু-রকম ব্যাখ্যা এসেছে দুই জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর কাছ থেকে। সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের মতে, বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাজা উচ্চ আদালতে নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না। তবে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেনের মতে, সাজার বিষয়ে উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ দিলে খালেদা জিয়ার প্রার্থী হতে কোনো বাধা নেই। -ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন।
বিএনপির ৫ শীর্ষ নেতার দন্ড স্থগিতের আবেদন মঙ্গলবার খারিজ করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এতে বলা হয়, ফৌজদারি মামলায় ২ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, এই রায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
সাবেক আইনমন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, কারো দন্ড স্থগিত করা হলেই সাজা বাতিল হয়ে যায় না। সাজা বাতিলের রায় না আসা পর্যন্ত তা বহাল থাকে। এ কারণেই আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না খালেদা জিয়া।
তবে এই বক্তব্যে দ্বিমত করে আরেক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আপিল মামলার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এ ক্ষেত্রে উচ্চ আদালত যদি কোনো রায়ের বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেয় সেক্ষেত্রে ভোটে দাঁড়াতে খালেদা জিয়ার বাধা নেই।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে ৩টি আসনে খালেদা জিয়াকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হলেও দুর্নীতির ২ মামলায় ১০ বছর ও ৭ বছরের সাজা পেয়ে গত ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন তিনি।