হঠাৎ করে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে তামিম ইকবালের অবসর ঘোষণার সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তামিমকে অবসরের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়ের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে জরুরি সভায় বসে ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) শীর্ষ কর্তারা। সে মিটিং হয় দুই ঘণ্টাব্যাপী। এরপর মধ্য রাতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন নাজমুল হাসান পাপন।
দীর্ঘ বৈঠক শেষে তামিমকে তার অবসরের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান বিসিবি সভাপতি। রাতে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুরুতে তামিমকে পাঠানো একটি খুদে বার্তা পড়ে শোনান পাপন। জানান যে, তামিমকে অবসর না নেয়ার আহ্বান করে বার্তা পাঠান তিনি। কিন্তু এখনও কোন উত্তর পাননি। বার্তা যেহেতু দিয়েছেন উত্তর পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান।
পাপন আরও জানান, সামনে বড় দুটি টুর্নামেন্ট আছে। একটি এশিয়া কাপ, অন্যটি বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো কিছুর আশাও করছিল। এমন সময় তামিমের অবসরের সিদ্ধান্ত দলের জন্য বড় এক ধাক্কা।
বিসিবি সভাপতি আরো বলেন,‘আমাদের জন্য একেবারেই…অবাক হয়েছি, অপ্রত্যাশিত ছিল। ম্যাচের তিনদিন আগেই তামিমের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ শুরুর আগেও কথা হয়েছে। আমার পক্ষে বোঝার কোনো উপায় ছিল না যে এমন সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে।’
এমনকি তামিম বিসিবি সভাপতি পাপনকে বলেছিলেন বিশ্বকাপ ছাড়াও পরবর্তী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত অধিনায়ক থাকবেন, ‘পরবর্তী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত থাকবে সে বলেছিল। এছাড়া মাশরাফি, সাকিব, তামিম, রিয়াদ, মুশফিক এই সিনিয়র পাঁচজন ক্রিকেটার না থাকলে এই জায়গায় বাংলাদেশ আসতো না। আমি সবসময় বলেছি আমাদের বেস্ট ওপেনার তামিম। বেস্ট ব্যাটার মুশফিক। বেস্ট খেলোয়াড় সাকিব। হুট করে তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেয়ায় এই মুহূর্তে কোনো অধিনায়ক নেই বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের। সিরিজের মাঝপথে নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের জন্য খুব একটা অপেক্ষার সময় নেই বিসিবির। এখনও দেশের সফলতম ব্যাটসম্যানের সিদ্ধান্ত বদলের জন্য অপেক্ষায় থাকার কথা জানান নাজমুল হাসান। একই সঙ্গে বলেন, শেষ পর্যন্ত তামিম সিদ্ধান্তে অটল থাকলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস। স্থায়ী কোন অধিনায়ক আমরা দিচ্ছি না। যদি ও (অবসরের) সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আমরা খুশি হবো।’
বোর্ড সভাপতি জানান, তামিমের এই অবসর কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না। যদি সংবাদ মাধ্যমকে ডেকে অবসরের ঘোষণা না দিয়ে বোর্ডকে আগে জানাতো তাহলে অবসরের কারণ বলতে পারতেন তারা।