দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর তুলনায় মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় অর্ধেকের মতো কম। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এ হার ৪০ শতাংশের কিছু বেশি থাকলেও গত ছয় বছরে এ হার আরও ৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে। সে হিসাবে বর্তমানে এ হার প্রায় ৫০ শতাংশ। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুারোর (ব্যানবেইস) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ বিষয়ে মাউশি ও ডিপিই কর্মকর্তারা দায়সারা কথা বলছেন। এই বিস্তর পার্থক্যের কারণ হিসেবে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিকের পর অধিকাংশ শিক্ষার্থী ঝরে যায়। তারা পড়াশোনা করতে পারে না বা চায় না। ঝরে যাওয়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড, আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা, বাল্যবিয়ে ও প্রাথমিকের চেয়ে মাধ্যমিকে তুলনামূলক কঠিন পড়াশোনার সাথে খাপ খাওয়াতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। ঝরে পড়া কমানোর ব্যাপারে শিক্ষাবিদরা বলছেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে মেগা প্রজেক্টের আলোকে সাজাতে হবে। অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তির আওতায় আনতে হবে।
ব্যানবেইসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২২ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল দুই কোটি দুই লাখ ২৭ হাজার ৮১৬ জন। একই সময়ে ২০২২ সালে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিল এক কোটি এক লাখ ৩৩ হাজার ১৪৩ জন। অর্থাৎ প্রাথমিকের চেয়ে মাধ্যমিকে এক কোটি ৯৪ হাজার ৬৭৩ শিক্ষার্থী কম আছে। যা মোট হিসাবের ৪৯ দশমিক ৯০৪ শতাংশ। কিন্তু ২০১৭ সালে এ হার ছিল ৪২ দশমিক ৫১১। অর্থাৎ গত ছয় বছরে এ হার বেড়েছে আরও ৭ দশমিক ৩৯৩ শতাংশ। ২০১৮ সালে প্রায় ৩ শতাংশের মতো বেড়ে হয়েছে ৪৫ দশমিক ৬৫১। ২০১৯ সালেও ১ শতাংশের বেশি বেড়ে হয়েছে ৪৬ দশমিক ৮২ শতাংশ। ২০২০ সালেও প্রায় ২ শতাংশ মতো বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৬৫৪ শতাংশ। তবে ২০২১ সালে এ হার কিছুটা কমে হয়েছে ৪৮ দশমিক ০১১।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) অতিরিক্ত মহাপরিচালক দিলিপ কুমার বণিক আমার সংবাদকে বলেন, ‘মাধ্যমিক পর্যায়ে কম থাকার বিষয়টি জানেন মাধ্যমিক কর্মকর্তারা। প্রাথমিকে তো আমাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি আছে।’ প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ঝরে না বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। তার মতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুন নুর মো. ফিরোজ (মাধ্যমিক-২) বলেন, প্রকৃত কারণটা জানার জন্য আপনারা মাউশি ডিজির কাছে জিজ্ঞেস করতে পারেন। তিনি সঠিক কারণ বলতে পারবেন।’বিস্তারিত