ইবি প্রতিনিধি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও চার সহযোগীদের ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও অ্যান্টি র্যাগিং ভিজিল্যান্স কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভার পরে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ঘটনাটি ঘটার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি এবং হাইকোর্টের যে প্রতিবেদন আমাদের কাছে প্রেরিত হয়, তা অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট-১৯৮৭ এর অধ্যায়-২ এর ৮ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি এক (১) বছরের বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী অন্তরাসহ চার অভিযুক্তকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত অন্য অভিযুক্তরা হলেন- ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।
এদিকে এমন সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন বলেন, তারা আমার ওপর যে পরিমাণ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে তাতে তাদের এক বছরের শাস্তি যথাযথ নয়। আমি আতঙ্কিত কারণ একবছর পর ফিরে আমার প্রতিশোধ নিবে কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে রাতভর ফুলপরীকে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে হল, বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগ পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত শেষে প্রতিবেদনের আলোকে হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। এছাড়া হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগ তাদের তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করেছিল