দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় করা হচ্ছে, তাতে নির্বাচনের সময় কোনো এজেন্ট পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় থাকার কথা জানালেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আজ বুধবার দুপুরে সিইসি কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে সেলিমা রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। পরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।
সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমরা মনে করি, তিনি (সিইসি) অসহায়। তিনি বিব্রত বোধ করছেন, এটা সত্যি। কারণ, তিনি কিছু করতে পারছেন না। তবু আমরা আশা রাখি, সিইসি যেহেতু এবার একটি সুযোগ পেয়েছেন, তিনি সঠিক পদক্ষেপ নেবেন। তাহলে কিন্তু আমরা এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হিসেবে প্রমাণ করতে পারব।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রচারণার পরপরই বিএনপির মহাসচিবের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রচারণায় বারবার হামলা করা হচ্ছে। মঈন খানের এলাকায় হামলা চালানো হচ্ছে। পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী ও যুবলীগ মিলে এই হামলা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, যাঁরা জামিনে আছেন, তাঁদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাঁদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। নাটোরে জামিনে থাকা সত্ত্বেও বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে আটক করা হয়েছে। যেসব নেতা-কর্মীর নামে মামলা নেই, মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
ধরপাকড়ের এমন অবস্থায় নির্বাচনের সময় কোনো এজেন্ট পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় থাকার কথা জানালেন সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, ‘পুলিশের ভয়ে অনেকে পলাতক আছেন। বিষয়গুলো আমরা কমিশনকে জানালাম। তফসিলের পর কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না বললেও প্রতিনিয়ত নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ বলছে, তাদের নামে আগে থেকেই মামলা ছিল।’ এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘সরকার চাইছে আমরা যেন নির্বাচনে প্রচারণা চালাতে না পারি, নির্বাচন যেন না করতে পারি। তারা যেন একতরফাভাবে নির্বাচন করতে পারে। সে কারণে এখন ভয়ভীতি, হামলা-মামলাসহ বিভিন্নভাবে আমাদের হয়রানি করছে। এই ঘটনাগুলো জানাতে আজ আমরা এসেছি।’