ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই সারাদেশে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের প্রচারণায় হামলা চালানো হচ্ছে। এ হামলা বিরোধীদের ওপর নয় বরং গণতন্ত্রের ওপর। তবে আমি আমার লোকজনকে বলেছি, কোনো উসকানিতে পা দেবেন না। আমরা নির্বাচনে যাব এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখব, আওয়ামী লীগ কতটা স্বৈরাচারি হতে পারে।
বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নারগুন ইউনিয়নের গণসংযোগকালে এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের গণজোয়ার শুরু হয়েছে। এ গণজোয়ারে হতাশ হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ। তাই প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্বাচন বানচালের পরিকল্পনা করছে আওয়ামী লীগ। সে জন্যই বিরোধীদের ওপর হামলা ও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। জনগণ আওয়ামী লীগের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। সে কারণে তারা এখন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেছে নিয়েছে। একদিকে প্রশাসনকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। অপরদিকে হামলা ও ভাঙচুর চালাচ্ছে বিরোধীদের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে।
নির্বাচন কমিশন এখনও নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারেনি দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় তাহলে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ধানের শীষে ভোট দিয়ে সরকার পতন করে দেশমাতা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার রঞ্জু চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক পয়গাম আলী প্রমুখ।