একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আগামীকাল সকাল এগারোটায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ের বর্ধিত ভবনে দলের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারনার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এবং নির্বাচনী প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
দলের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বিশিষ্ট অভিনয় শিল্পী, শিক্ষাবিদ, সঙ্গীত শিল্পী, ক্রীড়াবিদসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ আগামীকাল থেকে গানে গানে, সুরে সুরে বণার্ঢ্য প্রচার কার্যক্রম শুরু হবে। এতে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, অভিনয় শিল্পী, সঙ্গীত শিল্পী, ক্রীড়াবিদসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কর্মজীবনে অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেবেন।’
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে আর বেশি সময় নেই। এ সময়ের মধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পাড়া-মহল্লায়, প্রতিটি ঘরে ঘরে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতার কথা তুলে ধরতে হবে।
এইচটি ইমাম বলেন, সামনে ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন, আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ। নতুন প্রজম্মের যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারে নি তাদের জন্য এ নির্বাচন একটি বড় সুযোগ। আমরা এ নির্বাচনে বিজয়ী হব। কারণ, আমাদের এ নির্বাচনে জয়ের কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু করেছেন। তাঁর এ কর্মসূচীর সঙ্গে সংগতি রেখে আমরা স্বল্প পরিসরে রাজধানীতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলাম।
আগামীকাল থেকে নির্বাচনী প্রচারের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ প্রচার কার্যক্রমে সংস্কৃতি, সাহিত্য, নাটক, ক্রীড়াবিদরা অংশ গ্রহন করবেন।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এরপর সরকারের টানা দশ বছরের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র নিয়ে তৈরি একটি খন্ডচিত্র প্রদর্শিত হয়। এ সময়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে এবং একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে তৈরি একটি ভিডিও চিত্র দেখানো হয়।