সন্ধ্যার দিকে চুরি হয়েছিল নগদ টাকা ও সোনার গহনা। পরের দিন সকালে চুরির সেই জিনিসগুলো ফেরত দিয়ে গেছে চোর! সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনায় ঘটে এমন ঘটনা। চোরের এমন ‘দয়ালু’ হওয়ার কারণ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে দেশটিতে।
জানা যায়, হাবড়া পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীপুরের বাসিন্দা সুদীপ চক্রবর্তী। পেশায় বারাসত আদালতের ল’ক্লার্ক।
শনিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় তার দোতলা বাড়ির নিচতলায় ছিলেন শুধু বৃদ্ধা মা। রাত ৯টার দিকে সুদীপ ও তার স্ত্রী বাড়ি ফিরে দেখেন, দোতলার ঘরের আলমারি ভাঙা। লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে সব জিনিসপত্র। চুরি গেছে নগদ সাড়ে ছয় লাখ রুপি, প্রায় দেড়শ গ্রাম ওজনের সোনা ও বেশ কিছু রুপার গহনা।
এ দৃশ্য দেখে সবার মন খারাপ। রাতেই হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সুদীপ। ওই রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে দেয় পুলিশ।
অবাক করা ঘটনা ঘটে রবিবার সকালে। সকাল ৭টার দিকে ছাদের দরজা খুলতেই দেখা যায়, একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ পড়ে রয়েছে।
সুদীপ চক্রবর্তী জানান, চুরির ঘটনার পরে রাতে ঘুমাতে দেরি হয়েছিল। সকালে ঘুম ভাঙার পর স্ত্রী জানায়, ছাদে প্লাস্টিকের ব্যাগে কিছু পড়ে রয়েছে। গিয়ে দেখি, ব্যাগের ভেতরে চুরি যাওয়া সব গহনা। মনে হয়, ব্যাগটি ছাদে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল।
এলাকায় গুঞ্জন, পারিবারিক ঝামেলার জন্য পরিবারেরই কেউ হয়তো ওইসব টাকা-গহনা হাতিয়েছিল। পরে বিপদ বুঝে সব ফেরত দিয়ে গেছে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন