অন্যের থিসিস পেপার চুরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি হাতিয়ে নেওয়া এখন পুরনো খবর। থিসিস পেপার চুরি তো নৈতিকতাবিবর্জিত অপরাধ, কিন্তু এখন শিক্ষকরা নানা ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারিতেও নিজেদের কলুষিত করছেন। সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের শিক্ষকরা এখন নির্ধারিত ছুটি শেষে কাজে যোগ না দিয়েও বেতন-ভাতা তুলে নিচ্ছেন। গবেষণার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সুবিধা ভোগ করলেও তাদের কাছ থেকে নির্ধারিত হারে বাড়ি ভাড়া কাটা হচ্ছে না। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ভাতা দেওয়া হচ্ছে তাদের। তবে শিক্ষকরা যতটা না অবৈধ সুবিধা নিচ্ছেন, তার চেয়ে বেশি অনিয়ম করছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ। ভবন নির্মাণে অনিয়ম, ভর্তি পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ নানাভাবে লুটপাট চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। নানা অনিয়মের মাধ্যমে দুই বছরে রাষ্ট্রের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সরকারি ২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষিত প্রতিবেদনে বিশ^বিদ্যালয়গুলোর লুটপাটের এ চিত্র পাওয়া গেছে। ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারি এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় নিরীক্ষা করেছে তারা।
নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন প্রোগ্রামে অননুমোদিতভাবে শিক্ষা ছুটিতে বিদেশে অবস্থান করছেন। এসব শিক্ষকের অনেকেই শিক্ষাছুটি শেষে কাজে যোগ দেননি। তবে তাদের বেতন-ভাতা দিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষকরা ছুটি শেষে কাজে যোগদান না করায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।বিস্তারিত