হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় চার সিপাহিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তবে তাঁদের কাছ থেকে এখনো কিছু জানা যায়নি বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি মোর্শেদ আলম।
বিমানবন্দরের কাস্টমস হাউসের গুদাম থেকে সোনা চুরির ঘটনায় মামলাবিমানবন্দরের কাস্টমস হাউসের গুদাম থেকে সোনা চুরির ঘটনায় মামলা
ডিসি বলেন, আমরা মামলা হওয়ার পর চারজনকে এনেছি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কিন্তু এ ঘটনায় কাউকে আটক করিনি। এমনকি কাউকে আমরা গ্রেপ্তারও করিনি। তবে তদন্তের জন্য যাকে প্রয়োজন হবে, তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করব। এ ঘটনায় আমরা আলাদাভাবে তদন্ত করছি। কাস্টমস আলাদাভাবে তাদের তদন্ত করছে। যেহেতু তাদের তদন্ত কমিটিতে আমাদের কেউ নেই, তাই আলাদাভাবে তদন্ত হচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন শুল্ক কর্মকর্তাও পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে চার শুল্ক কর্মকর্তার নাম শোনা যাচ্ছে।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদা আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চারজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমাদের আইনি পদক্ষেপ চলমান থাকবে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের ভেতরে শুল্ক বিভাগে দুটি গুদাম বা লকার রয়েছে। এর মধ্যে নিচতলায় শুল্ক বিভাগের স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের বের হওয়ার পথে তল্লাশি টেবিলের পাশে ছোট একটি লকার আছে। সেখানে মূলত তল্লাশির সময় তাৎক্ষণিকভাবে জব্দ করা পণ্য রাখা হয়। তবে সোনা বা বেশি মূল্যবান সামগ্রী হলে সেটা নিচতলায় ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ শাখার পাশেই শুল্ক হাউসের গুদামে নিয়ে রাখা হয়। গুদামের ভেতর আলাদা লকার রয়েছে। সোনা রাখার একটি লকার থেকে ৫৫ কেজি সোনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক বিভাগের গুদামে থাকা লকার থেকে ৫৫ কেজির বেশি সোনা চুরি হয়ে গেছে। টার্মিনাল ভবনের ভেতরে সুরক্ষিত স্থান থেকে কীভাবে এমন চুরির ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।