মুখস্থনির্ভর পড়াশোনার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মেধা যাচাই করার লক্ষ্যে গত ২০০৮ থেকে সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। এরপর কেটে গেছে ১৫ বছর। কিন্তু সৃজনশীল পদ্ধতি সফল করা যায়নি। দীর্ঘদিন চলা এ শিক্ষাপদ্ধতি পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেননি শিক্ষকরাই, বোঝাতে পারছেন না ছাত্র-ছাত্রীদেরও। স্কুলগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা নিচ্ছে বাইরের কোনো সমিতি বা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশ্নপত্র কিনে। কেউবা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করছেন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিয়ে। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, আইসিটি প্রশিক্ষণ, সৃজনশীল প্রশিক্ষণ, কারিকুলামসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেই অনেক শিক্ষকের- যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষায়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের একাডেমিক সুপারভিশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সৃজনশীলে শিক্ষকদের অযোগ্যতা, অনভিজ্ঞতাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নানা সংকট শিক্ষার বেহাল দশার চিত্রই তুলে এনেছে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। তারা বলছেন, ব্যর্থ হয়েছে সরকারের সৃজনশীল পদ্ধতি, আর নতুন কারিকুলামে ধ্বংস হতে বসেছে শিক্ষা। মাউশির অধিদফতরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন উইংয়ের অ্যাকসেস অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স ইউনিট (একিউএইউ) একাডেমিক সুপারভিশনের প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তথ্য বলছে, মাউশির ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের ১২ হাজার ৬২৬ বিশ্ববিদ্যালয় গত জানুয়ারিতে পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে সুপারভিশন করা হয়েছে ৫ হাজার ৯৫২টি বিদ্যালয়। সুপারভিশনকৃত বিদ্যালয়ের তথ্য দিয়েই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।বিস্তারিত