1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগ, দ্রুত নিয়ন্ত্রণে বড় ক্ষতি এড়ানো চীনা পেশাজীবীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করল ভারত হাতিয়ায় অচল নৌ-অ্যাম্বুলেন্সে ব্যাহত জরুরি স্বাস্থ্যসেবা চার দশক পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ ও হলসংসদ নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির অবস্থা সংকটাপন্ন, উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা বাখেরআলী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত তসিকুল ইসলামের মরদেহ হস্তান্তর শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চায় ইনকিলাব মঞ্চ মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, ঝুঁকিপূর্ণ ৭২ ঘণ্টা পার করছেন গুগলে সর্বাধিক অনুসন্ধান হওয়া ভারতীয় হিসেবে উঠে এলেন ১৪ বছর বয়সী ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশী সন্ত্রাসী হামলার পেছনের শক্তি প্রকাশের দাবি জামায়াত আমিরের

সিঙ্গাপুরের ডিজিটাল অর্থনীতি পাঁচ বছরে দ্বিগুণ

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৪৩ বার দেখা হয়েছে

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেই পাঁচ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরের ডিজিটাল অর্থনীতি। অভ্যন্তরীণ ও বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দক্ষ জনবল ও উৎপাদন বাড়ার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে খাতটিতে। দীর্ঘদিন ধরেই বৈশ্বিক প্রযুক্তির প্রাণকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছে দেশটি। সম্প্রতি দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নীতিনির্ধারক সংস্থা ইনফোকম মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব সিঙ্গাপুর (আইএমডিএ) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর নিক্কেই এশিয়া।

প্রতিবেদন অনুসারে, দেশটির ডিজিটাল অর্থনীতি ২০২২ সালে ১০ হাজার ৬০০ কোটি সিঙ্গাপুরি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০১৭-২২ সালের মধ্যে পাঁচ বছরে আকার বেড়েছে ৮৩ শতাংশ। দেশের জিডিপিতে ডিজিটাল অর্থনীতির অবদান গত বছরে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অথচ ২০১৭ সালে জিডিপিতে খাতটির অবদান ছিল ১৩ শতাংশ।

 

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো বেছে নিচ্ছে সিঙ্গাপুরকে। অন্যদিকে সিঙ্গাপুরও অর্থনীতির সম্প্রসারণে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর দিকে ঝুঁকছে। তৈরি করা হচ্ছে দক্ষ জনবল। সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে খাতটির সম্প্রসারণ, উন্নয়ন ও গবেষণার জন্য ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

আইএমডিএ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিউ চুয়ান হং বলেন, ‘‌বৈশ্বিক বাজার ও ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বর্তমানে ডিজিটাল অর্থনীতি প্রায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ‌সিঙ্গাপুরের মতো ছোট দেশের জন্য সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে সক্ষমতা প্রমাণের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে খাতটি।’

ডিজিটাল অর্থনীতি কীভাবে পরিমাপ হয়, তা নিয়ে বৈশ্বিকভাবে গৃহীত কোনো একক নেই। তবে জিডিপির বিপরীতে খাতটির অবদান দেখে ধারণা পাওয়া যায়। ২০২০ সালে দেশটির জিডিপিতে ডিজিটাল অর্থনীতির অবদান ছিল ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। জিডিপিতে অবদানের দিক থেকে অনেক দেশের তুলনায় এগিয়ে দেশটি। উদাহরণস্বরূপ এস্তোনিয়া, সুইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপিতে ডিজিটাল অর্থনীতির অবদান যথাক্রমে ১৬ দশমিক ৬, ১৫ ও ১৬ দশমিক ১ শতাংশ।

ডিজিটাল অর্থনীতি খাতকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। তার মধ্যে বিনিয়োগ, কম্পিউটার, প্রযুক্তি যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার খাত সিঙ্গাপুরের জিডিপিতে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ অবদান রাখে। অন্যদিকে খাতটিতে অর্থায়ন, ইন্স্যুরেন্স, পাইকারি ও উৎপাদন অবদান রাখে জিডিপির ১১ দশমিক ৯ শতাংশ।

ডিজিটাল অর্থনীতির সম্প্রসারণের কারণে প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনবলের চাহিদা বেড়েছে। প্রযুক্তি খাতে কর্মীর সংখ্যা দুই লাখ অতিক্রম করেছে। স্থানীয় পেশাজীবীদের জন্য গড় বেতন ৭ হাজার ৩৭৬ ডলার। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রযুক্তি খাতে বেশকিছু ছাঁটাইয়ের ঘটনার পরও কর্মী চাহিদা ছিল স্থিতিশীল।

তবে ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির পরও সতর্ক করা হয়েছে। প্রযুক্তি খাত সাধারণত দ্রুত পরিবর্তনশীল খাত। ফলে পরিবর্তনকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে। তাছাড়া প্রযুক্তির কেন্দ্র হয়ে ওঠার পথে সিঙ্গাপুরের অনেক প্রতিযোগী রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের বাজারে। প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ‘‌আইএমডিএ খাতটির উন্নয়ন ও সংশ্লিষ্ট গবেষণা বাড়ানো অব্যাহত রাখবে, যেন আগামী দিনগুলোয় অগ্রগতি টেকসই হয়।’

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com