আট বছর আগে রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মো. শাজাহান এবং কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আহসান হাবিব ওরফে লিংকনসহ ১৫ জন দণ্ডবিধির ২ ধারায় ২ বছর করে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন, মোহাম্মদ মামুন, দ্বীন ইসলাম ও আমিনুল ইসলামকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এ রায় দেন।
অপর দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-বিএনপির গ্রাম সরকার বিষয়ক সহসম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুর রহমান ওরফে শামীম, তৌহিদুল ইসলাম ওরফে তুহিন, মনিরুল হক ওরফে মনির, মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, মাসুদ রানা, আব্দুর রাজ্জাক, জিয়াউল ইসলাম ওরফে জুয়েল, মো. আরিফ, মোহাম্মদ নিশান মিয়া, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ওরফে সুমন ও মোজাম্মেল হক ।
তাদের কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই ধারায় ৫ হাজার করে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অনাদায়ে তাদের দুই মাসের কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সেক্ষেত্রে তাদের দুই বছরের কারাভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ শাকিল আহমেদ রিপন সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিন আলহাজ মো. শাজাহানের পক্ষে তার মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জোটের সমর্থক ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের পরোক্ষ ইন্ধনে ৩০/৪০ জন ভাটারা থানাধীন যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীতে প্রগতি স্মরণীতে জনসাধারণের চলাচল গতিরোধ, পুলিশের কাজে বাধাসহ খুন করতে বাসে অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় ভাটারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।