‘ভূত’ আর ‘প্রেতাত্মা’ যা-ই বলা হোক না কেন, চিরকালই তা এক অপার রহস্যের নাম। পৃথিবীতে এমন একটা মানুষও খুঁজে পাওয়া যাবে না যে ছোটবেলায় ভূতের গল্প শোনেনি। আর বড়বেলায় এসেও ভূত-প্রেত বিষয়ে মানুষের আগ্রহ এতটুকু কমেনি। লোকমুখে শোনা যায়, প্রেতাত্মা হয়ে দেখা দেন বিখ্যাত রাজা-রানিরাও। রাজা-রানিদের ভূত হিসেবে দেখা যায় ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন প্রান্তে। বিখ্যাত সেসব প্রেতাত্মাকে নিয়ে লিখেছেন – রণক ইকরাম
দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের আর্তনাদ
তিনি চলে গেছেন বহু বছর আগে। ১৩২৭ সালের ২৫ জানুয়ারি ছিল তাঁর জীবনের শেষ দিন। আর বহু বছরের পুরনো সেই মানুষটি নাকি এখনো কাঁদেন। এখনো কেঁদে-কেটে পুরনো দুর্গটির আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে তোলেন। বলা হচ্ছে, ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের কথা। আর এডওয়ার্ডের কান্নাধ্বনি এখনো শোনা যায় একটি প্রাচীন দুর্গ থেকে। এ দুর্গটির অবস্থান ইংল্যান্ডের গ্লুসেস্টারশায়ারের বার্নলি শহরে। এ অদ্ভুতুড়ে ঘটনার জন্য শহরের মানুষ রীতিমতো বিব্রত এবং ভীতসন্ত্রস্তও বটে। মজার ব্যাপার হলো- বিখ্যাত এ দুর্গটির সুবাদে শহরের অনেকে আবার গর্ববোধও করেন। কিন্তু এরপরও মাঝেমধ্যে যখন ওই দুর্গ থেকে যন্ত্রণাকাতর আর্তনাদ এবং আরও নানা বীভৎস চিৎকার ভেসে আসে তখন সত্যিই থমকে যেতে হয়। ১৩২৭ সালে এ দুর্গে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয় রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ডকে। হত্যার আগে তার ওপর চালানো হয় বর্বর নির্যাতন। অমানবিক নিষ্ঠুরতার সঙ্গে গনগনে লাল শিক দিয়ে খুঁচিয়ে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল ১৩২৭ সালের ২৫ জানুয়ারি। ওই বীভৎস নির্যাতনের কারণে দুঃসহ যন্ত্রণায় অবিরাম আর্তনাদ করেছেন তিনি, সেই আর্তনাদ এখনো নাকি মাঝে মধ্যে শহরের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত শোনা যায়।বিস্তারিত