জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য বিরাজ করছে। যার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের আর্থিক খাত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের সঙ্গে যোগ হয়েছে টানা হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান প্রধান সূচকগুলো রয়েছে নেতিবাচক ধারায়। নানা ধরনের নিয়ন্ত্রারোপ করেও কমানো যাচ্ছে না আমদানি ব্যয়। সরকারের আর্থিক সংকট মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নোট ছাপিয়ে সরকারকে টাকা সরবরাহ করেছে। অন্যদিকে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহেও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে প্রায় প্রতিদিনই। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বাজেট বাস্তবায়নের হার নেমেছে ১১ বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রার বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভায় অর্থনীতির সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অর্থবিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা না এলে আরও গভীর সংকটে পড়তে পারে দেশের আর্থিক খাত। একই দিনে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় আগামী বাজেটেও বাজেট ঘাটতি ও মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়। আর মূল্যস্ফীতির বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। সভায় আগামী বাজেটের আকার নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। আসছে বাজেটের আকার হতে পারে ৮ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা।বিস্তারিত