একদিকে পুরুষের মেকআপ নিয়ে বাড়ছে জনপ্রিয়তা, অন্যদিকে বিতর্ক। ইয়াং ইউ, ৩৫ বছর বয়সী এক মার্কিন পুরুষ ক্লিনজার, টোনার, সিরাম, ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন, প্রাইমার, কনসিলার, কনট্যুর, ব্লাশ ও আইলাইনার ব্যবহার করেন। অনেকের কাছে বিষয়টি ‘অতিরিক্ত’ বলে মনে হতেই পারে। তবে ইউ মনে করেন, বিষয়টি স্বাভাবিক। মেকআপের পণ্যকে লৈঙ্গিক বেড়াজালে আটকে রাখার কোনো মানে নেই। টিকটকে ইউর অনুসারী ১৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তাঁদের একটা বড় অংশই নারী, সবাই ইউর মেকআপ টিউটোরিয়াল দেখেন। নিজেকে মেকআপসহ প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এই সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার।
মেকআপ ও ত্বকের যত্নের বিষয়ে ইউএসএ টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউ বলেন, ‘মেকআপ আমার কাছে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। মেকআপকে বাঁধাধরা নিয়মে আটকে ফেললে চলবে না। মেকআপকে নির্দিষ্ট লিঙ্গতে আটকে রাখা ভুল, অন্যায়। পুরুষের মেকআপ করার ইতিহাস হাজার বছরের। সতেরো ও আঠারো শতকে পৌরুষ পায় নতুন সংজ্ঞা। এরপর মেকআপ থেকে পুরুষকে আলাদা করে ফেলা হয়। নারী আর পুরুষের পোশাকেও আসে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য।’
ইউ মনে করেন, এসব নিয়মকানুন মানবসভ্যতাকে টেনে নিয়ে গেছে কয়েক শ বছর পেছনে! সৌন্দর্যের ধারণায় বৈষম্যের বেড়াজালে আটকা পড়েছে বিশ্ব। এখন এসব বেড়াজাল ভেঙে ভিন্নতাকে সাদরে গ্রহণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পুরুষের মেকআপের সঙ্গে তাঁর জেন্ডার আইডেনটিটি আর সেক্সুয়াল আইডেনটিটির কোনো সম্পর্ক নেই। তাই কোনো পুরুষকে মেকআপ করতে দেখে তাঁকে নির্দিষ্ট কোনো ‘ট্যাগ’ দেওয়া যাবে না।বিস্তারিত