অনলাইন ডেস্ক
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনের সামনে কথা কাটাকাটির জেরে নৌকা ও বিদ্রোহী- দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে দু’পক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়।
এর আগে কুমিল্লা-১ আসনের (দাউদকান্দি- তিতাস) স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাঈম হাসান প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার শুনানিতে অংশ নিতে ইসিতে আসেন। ১ শতাংশ ভোটারের তথ্য সংক্রান্ত গরমিল থাকায় তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল।
‘নির্বাচনের আগেই
হেরে গেছিস-এমন
কটূবাক্য বলার পরই
এ পরিস্থিতি তৈরি হয়’
– ব্যারিস্টার নাইম হাসান
সূত্র জানায়, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল শুনানিতে অংশ নেন কুমিল্লা ১ আসনের সংসদ স্বতন্ত্র প্রার্থি নাঈম হাসান। দুপুর সোয়া বারোটার দিকে তার আপিল নামঞ্জুর করা হয়। পরে তিনি বাইরে বেরিয়ে এলে তার সমর্থকদের সঙ্গে আবদুস সবুরের সমর্থকদের কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ সময় উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাৎক্ষণিক প্লাবন ও সানজিদ নামে দুজনকে নিজেদের হেফাজতে নেন।
‘আমি স্থানীয় যুবলীগের
সাবেক নেতা।
এখানে দেখতে
এসেছিলাম।
মারামারি করিনি’
– সারোয়ার হোসেন বাবু
শের-ই-বাংলা নগর থানার এসআই নিয়ামুল ইসলাম বলেন, ‘একটু উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরে পুলিশ এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এনেছে। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি সুন্দর ও স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা কাউকে আটক করিনি। বরং জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য হেফাজতে রাখা হয়েছে।’
পাল্টাপাল্টি ব্যারিস্টার নাঈম ও সারোয়ার হোসেন
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্যারিস্টার নাঈম সারোয়ার বাবু ও মুরাদকে দায়ী করেছেন। তাদেরকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘আমাকে ও আমার সমর্থকদের কটূক্তি করায় আমার সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এ সময় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সারোয়ার বাবু ও মুরাদসহ আরও কয়েকজন হামলা চালিয়েছে।’
পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমার কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে নির্বাচনের আগেই হেরে গেছিস-এমন কটূবাক্য বলার পরই এমন বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।’
এদিকে হাতাহাতির অভিযোগ অস্বীকার করে সারোয়ার হোসেন বাবু বলেন, ‘আমি স্থানীয় যুবলীগের সাবেক নেতা। এখানে দেখতে এসেছিলাম। কোনো মারামারি করিনি।’