প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে ব্যক্তিগত গাড়ি ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগে আটক আসামি শেখ শাহরিয়ার করিমসহ অন্য আসামিদের জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আহসান হাবীবের আদালতে শাহরিয়ারের জামিন শুনানি করেন তারই বাবা অ্যাডভোকেট শেখ রেজাউল করিম। এ সময় তিনি শুনানিকালে খাস কামরায় বিচারকের সামনে কেঁদে সন্তানের জামিন চান। এদিকে শেখ শাহরিয়ার করিমসহ তিন আসামির এক দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত আগামী ১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছে। একই সঙ্গে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এ ছাড়া অন্য আসামিদের পক্ষে ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএনপি সমর্থক আইনজীবী ইকবাল হোসেন জামিনের শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, মামলায় সব কয়টি জামিনযোগ্য ধারা। আসামিরা না বুঝে ভুল করে গাড়ি নিয়ে গিয়েছেন। যে কোনো শর্তে জামিন দিলে আসামিরা পলাতক হবেন না। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মো. মকবুলুর রহমান। গত মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তিন আসামিকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, আসামিদের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় ধানমন্ডির সুধা সদন থেকে ভিভিআইপি মহোদয় (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) গাড়িবহর নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীসহ গুলশানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর ধানমন্ডির ৮ নম্বর রোডে মডার্ন হাসপাতালের সামনে গেলে হঠাৎ করে একটি প্রাইভেটকার গাড়িবহরের মধ্যে ঢুকে যায়, যা মুঈদ আহমেদ চালাচ্ছিলেন। গাড়ি নম্বর- ঢাকা মেট্রো-গ ৩১-১৮৪০। তখন নিরাপত্তা বাহিনী তাদের গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করে। পরে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। দেশের একজন ভিভিআইপির নিরাপত্তা বেষ্টনী ছেদ করে তাদের আসাটা স্পর্শকাতর ও সন্দেহজনক।