1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
তেজগাঁও-কারওয়ান বাজারে সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেফতার ৩০ দাবি পূরণের আশ্বাসে শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত নিরাপত্তা জোরদারে ৭ নির্দেশনা সচিবালয়ে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ দেশের প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে সচিবালয়ের অভ্যন্তরে প্রত্যেকটি ভবনের নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ব্যাংকের মোট ঋণের ৯৫ শতাংশই খেলাপি: অর্থ উপদেষ্টা জাতীয়করণে শিক্ষকদের আলটিমেটাম, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন কর্মসূচি নির্বাচন ঠেকাতে নানা ষড়যন্ত্র ♦ ইস্যু সৃষ্টি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে : সালাহউদ্দিন আহমেদ ♦ বিভিন্ন অপচেষ্টা চলমান এ নিয়ে সন্দেহ নেই : মোস্তফা জামাল হায়দার ♦ তারিখ ঘোষণা হলেও নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী NBR clarifies zero-tax return warning for awareness, not intimidation Jamaat’s 2024 income nearly twice BNP’s, spending five times higher: EC Filings Govt ready to hand over power to elected representatives: CA Bangladesh seeks Malaysia’s support to establish halal industrial park

বছরে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৯
  • ১১৬ বার দেখা হয়েছে

জ্বালানি তেল বিপণন কোম্পানির কাছ থেকে দ্রুত টাকা আদায় করতে অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উদ্যোগটি ভালো, কিন্তু দরপত্র ছাড়া যে পদ্ধতিতে বিপিসি একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হলে বিপিসি বছরে গড়ে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা হারাবে।

বিপিসি সূত্র জানায়, বিপণন কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, এসএওসিএল এবং এলপিজির কাছে জ্বালানি সরবরাহ করে বিপিসি। কোম্পানিগুলো মাসের পর মাস বিপিসির হাজার কোটি টাকা আটকে রাখে। এ জন্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে টাকা আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয় বিপিসি।

বিভিন্ন বিপণন কোম্পানি থেকে টাকা দ্রুত আদায়ের জন্য বিপিসি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমস (সিএনএস) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে যাচ্ছে। আগামী ২ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যাদেশ দিতে বিপিসি ২০ মার্চ চুক্তি সম্পাদনের জন্য আদেশ (নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড বা এনওএ) জারি করেছে। বিপিসির সঙ্গে নামমাত্র খরচে ‘অটোমেশন’ চুক্তি করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে যে শর্তে চুক্তি হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বিপিসি সূত্র জানায়, দরপত্র আহ্বান না করে সিঙ্গেল সোর্সের ভিত্তিতে সিএনএসকে অটোমেশনের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী পাঁচ বছরে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা প্রত্যক্ষভাবে পাবে সিএনএস। কিন্তু বিভিন্ন বিপণন কোম্পানির কাছ থেকে আদায় করা টাকা ব্যাংকে সর্বোচ্চ আট কার্যদিবস পড়ে থাকবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের এসএনডি (শর্ট নোটিশ ডিপোজিট বা স্বল্প মেয়াদের আমানত) হিসাবে বিপিসির টাকা জমা থাকবে। এই হিসাব নিয়ন্ত্রণ করবে জ্বালানি তেল বিপণন কোম্পানি এবং সিএনএস। ফলে বিপুল অঙ্কের টাকার সুদ থেকে বঞ্চিত হবে বিপিসি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে সারা দেশে বিপিসির প্রায় ৪৯ হাজার কোটি টাকার জ্বালানি বাজারজাত হয়েছে। প্রতিবছর জ্বালানির চাহিদা ৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। এতে এক দিনে গড়ে প্রায় ১৪০ কোটি টাকা বিভিন্ন বিপণন কোম্পানির কাছে বিপিসির পাওনা থাকে। ফলে প্রতি আট দিনে ১ হাজার ১২০ কোটি টাকা এসঅ্যান্ডডির হিসাবে থাকলে সুদ থেকে বঞ্চিত হবে বিপিসি।

চুক্তির শর্তাবলিতে ‘আট কার্যদিবসের’ ফাঁদ থাকার কারণে বছরে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা ‘অপরচুনিটি কস্ট’ বাড়বে। তাতে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলে বিপিসির আড়াই শ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। এ ছাড়া শত শত কোটি টাকার লেনদেনের ক্ষেত্রে সরকারের ক্রয় কমিটির অনুমোদন নিতে হয়। বিপিসি চুক্তির সবকিছু চূড়ান্ত করলেও ক্রয় কমিটির অনুমোদন নেয়নি।

বিপিসির পরিচালক (অপারেশন) সৈয়দ মেহেদী হাসান বলেন, মাসের পর মাস বিপিসির টাকা বিপণন কোম্পানির কাছে পড়ে থাকে। এ জন্য অটোমেশনে যাচ্ছে বিপিসি, যাতে জ্বালানি বিক্রির টাকা দ্রুত পাওয়া যায়। কিন্তু যে অভিযোগ উঠেছে, তা ঠিক নয়।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘বিপিসি অটোমেশনে যেতে কার সঙ্গে চুক্তি করছে, তা অফিশিয়ালি জানি না। একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে সরকারের শত শত কোটি টাকা সাত-আট দিন কী করে পড়ে থাকবে? যদি এই টাকার কিছু হয় দায় কে নেবে?

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com