নিজস্ব প্রতিবেদক
দফায় দফায় বৈঠক করছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে এসব বৈঠক হচ্ছে।এখন পর্যন্ত দুদল কোনো ঐকমত্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। আগামীকাল বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। গুঞ্জন রয়েছে আসন সমঝোতা না হলে শেষ মুহুর্তে নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহল থেকে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। যদি জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়েছে। তবে প্রকাশ্যে যাই বলুক না কেন আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির মধ্যে যে আসন সমঝোতা নিয়ে বারবার বৈঠক হচ্ছে এটা নিশ্চিত। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৬০টি আসন চায়। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল এতো সংখ্যক আসনে ছাড় দিতে নারাজ। এরকম বাস্তবতায় আজ রাতে চূড়ান্ত বৈঠক করবে আওয়ামী লীগ। তবে সেই বৈঠকের আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আজ সন্ধ্যার পরপর দুই দফায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক করছেন।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দলের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বৈঠকটিও একই কার্যালয়ে হয়েছে বলে জানা গেছে।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কার্যালয়ে আসেন। তার কিছুক্ষণ পরে আসেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, তারপর আসেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আগে আসেন সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান কার্যালয়ে এসেই ওবায়দুল কাদেরের কক্ষে যান। তারপর তারা দপ্তর সম্পাদকের কক্ষের দরজা বন্ধ করে বৈঠক করেন। প্রায় আধা ঘণ্টার মতো বৈঠক করে সব নেতারা কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রথম বৈঠকের প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে আবারও বৈঠক ডাকা হয়। রাত পৌনে ৯টার দিকে দলের একই কার্যালয়ে আবার আসেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈঠকটি চলছে।