প্রাত্যহিক জীবনের অপরিহার্য অংশ ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের লাখো কোটি ওয়েবসাইট আমাদের সামনে থাকলেও এর পেছনে রয়েছে আরও একটি জগৎ। সেই জগৎকে বলা হয় ডিপ ওয়েব। ডিপ ওয়েবের কোনো কিছুই সাধারণের জন্য অ্যাকসেসযোগ্য নয়। আর ডিপ ওয়েবের গভীরে আরও গোপনে থাকে রহস্যময় ডার্ক ওয়েব। ডার্ক ওয়েবকে বলা হয় অপরাধ ও অপরাধীদের স্বর্গ। প্রচলিত ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ডার্ক ওয়েবের কোনো অ্যাকসেস নেই। এর জন্য আলাদা ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। এ আয়োজনের উদ্দেশ্য মানুষকে ডার্ক ওয়েব ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা নয়। কারণ ডার্ক ওয়েব ব্যবহার বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সচেতনতা এবং জানার পরিধি বাড়ানোর জন্যই ইন্টারনেটের অচেনা জগৎ সম্পর্কে আজকের আয়োজন
যেভাবে ডার্ক ওয়েবের সৃষ্টি
ব্যক্তিগত, গোপন তথ্যাদি এবং ব্যাক অ্যান্ড ডাটা সুরক্ষার জন্য অটোমেটিক্যালি সূত্রপাত ডিট ওয়েবের। কিন্তু ঠিক কীভাবে ডার্ক ওয়েবের জন্ম- এ নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারের শুরু থেকেই মানুষ বিভিন্নভাবে নিজের পরিচয় গোপন রাখার চেষ্টায় রত ছিল। মূলত এ ধারণা থেকেই প্রক্সি সার্ভার, ভুয়া আইপি ইত্যাদির প্রচলন। এগুলোকেও অনেকের ক্ষেত্রে ডার্ক ওয়েবের আওতায় ধরা যায়। বহু আগে থেকেই বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ গোপনীয়তার সঙ্গে নিজেদের অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি প্রক্রিয়া শুরু করতে চাচ্ছিলেন। সামরিক বাহিনী, বিপ্লবী, ব্যবসায়ী, হ্যাকার, এমনকি অনেক দেশের প্রশাসনও এমন একটি ইন্টারনেট ব্যবস্থা তৈরি করতে চেয়েছে যার মাধ্যমে তারা গোপনে নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে। মূলত সেই ধারণা থেকেই ডার্ক ওয়েবের উদ্ভব। সাধারণত অনলাইনে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ, ডাউনলোড-আপলোড পর্যবেক্ষণ করার অ্যাকসেস থাকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারে। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা যে কারও কাছে তারা তথ্য সরবরাহ করতে পারে। এভাবে যেন সহজেই কেউ ট্রেস করতে না পারেন সে উদ্দেশ্যে ডার্ক ওয়েবের সৃষ্টি এবং আস্তে আস্তে অপরাধীরা এর ছায়াতলে ভিড় করেন।বিস্তারিত