শুরু করেছিলেন দূরদর্শনের সংবাদপাঠিকা হয়ে। তারপর অভিনয়ে। মাত্র এক দশকের ক্যারিয়ার। স্বীকৃতিস্বরূপ এসেছিল পদ্মশ্রী, দুটি জাতীয় পুরস্কার এবং ফিল্মফেয়ার। অভিনয় ও ব্যক্তিত্বে ছিল আলাদা ঘরানা। তাঁকে বলা হতো বহুমাত্রিক নারী। তিনি স্মিতা পাতিল। জন্ম পুণেতে। ১৯৫৫ সালের ১৭ অক্টোবর। বাবা শিবাজিরাও গিরধর পাতিল রাজনীতিক। মা বিদ্যাতাই পাতিল ছিলেন সমাজসেবী। দুজনের ব্যক্তিত্বের প্রভাব পড়েছিল স্মিতার বেড়ে ওঠায় ও মানসিকতায়। এ বহুমাত্রিক নারীর নানা গল্প তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ
ঢাকার ছবিতে অভিনয়ের কথা ছিল
১৯৮৬ সালের ডিসেম্বর মাস। স্মিতার মৃত্যুর কিছুদিন আগে ঢাকার জনপ্রিয় সিনেমা পত্রিকা ‘সাপ্তাহিক সিনেমা’য় বিশাল করে এ শিরোনাম দিয়ে লেখা হয়েছিল-ঢাকার ছবিতে অভিনয় করবেন স্মিতা পাতিল। এটি ছিল ‘সাপ্তাহিক সিনেমা’র প্রচ্ছদ প্রতিবেদন। মৃত্যুর কিছুদিন আগে ঢাকার একজন প্রযোজক তাঁর সঙ্গে কথা বলে এসেছিলেন, তার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল সেই সচিত্র প্রতিবেদন। কিন্তু স্মিতার আকস্মিক মৃত্যুতে সেই উদ্যোগ আর আলোর মুখ দেখেনি।
শ্যাম বেনেগালের আবিষ্কার
অভিনেত্রী স্মিতা ছিলেন শ্যাম বেনেগালের আবিষ্কার। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বরাবর সরব হয়েছেন নারীদের সমস্যা ও অধিকার নিয়ে। তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রভাব পূর্ণ মাত্রায় পড়ত অভিনয়েও। তাঁর অভিনীত ছবিগুলো ছিল প্রথাগত নায়কপ্রধান ছবির বিপরীত মেরুর। মারাঠি ও হিন্দি ছবিতে নিজের সময়ে স্মিতা ছিলেন বলিষ্ঠ অভিনেত্রী। তাঁর প্রথম ছবি মুক্তি ‘মেরে সাথ চল’ মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে। এর পরের বছর শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় ‘নিশান্ত’। বিস্তারিত