বিশেষ প্রতিনিধি ঢাকা
রাজধানীর তাপমাত্রা আরও কমে শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি চলে গেছে। দিনের সামান্য রোদ হাড়কাঁপানো শীত কমাতে পারছে না। দৃষ্টিসীমাজুড়ে থাকছে কুয়াশা। গা হিম করা শীতল বাতাস বইছে।
অন্যদিকে দেশের চারটি বিভাগ ও চারটি জেলাজুড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। বাকি এলাকাগুলোতে থাকছে তীব্র শীত।
দেশের উত্তরাঞ্চলসহ শীতপ্রবণ এলাকাগুলোতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। নিম্নবিত্ত মানুষেরা আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো শীতপ্রবণ এলাকায় কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করছে। তবে প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, কোনো কোনো এলাকায় শীতার্ত মানুষেরা প্রয়োজনের তুলনায় কম কম্বল পাচ্ছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই শীত চলতি জানুয়ারি মাসের পুরো সময়জুড়ে থাকতে পারে। তবে আগামী দুই থেকে তিন দিন দেশের উপকূলসহ কয়েকটি এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে এবং থাকতে পারে মেঘ। এতে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে শীত সামান্য কমতে পারে। বঙ্গোপসাগর থেকে কোথাও কোথাও মেঘ ও বৃষ্টি আসতে শুরু করেছে। খুলনা ও বরিশালের আকাশে মেঘমালা হাজির হয়েছে। ফলে আজ দেশের কোনো কোনো এলাকায় তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে এতে শীতের তীব্রতা খুব বেশি কমবে না।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ বুধবার খুলনায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চল থেকে উপকূল পর্যন্ত আকাশ মেঘলা থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক প্রথম বলেন, মেঘ দেশের উপকূলীয় এলাকা থেকে রাজধানীসহ মধ্যাঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত হয়ে পড়তে পারে। ফলে এসব এলাকায় তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আগামী দু-এক দিন মেঘ-বৃষ্টি থাকতে পারে। তারপর আবারও শীত বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া মৌলভীবাজার, ভোলা, কুমিল্লা ও বরিশালে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দু-একটি জায়গা থেকে শৈত্যপ্রবাহ কমে গেলেও অধিকাংশ এলাকায় তা অব্যাহত থাকতে পারে।
গতকাল রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। ঢাকা বিভাগের অন্য জেলাগুলোর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল আরও কম, ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।
তীব্র শীতের কারণে সৈয়দপুর, রাজশাহী ও যশোর বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। রাজধানী থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দিকে রওনা হওয়া নৌযানগুলোকে ভারী কুয়াশার কারণে ধীরে চলতে হয়েছে। সড়কপথেও কুয়াশা সমস্যা তৈরি করেছে।