1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
মস্কোর নিকটে রাশিয়ার সামরিক কার্গো বিমান বিধ্বস্ত, ৭ নিহত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় ইসির সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের জরুরি ব্রিফিং ডাকা ঘিরে নির্বাচনী জল্পনা সরকারি পদে থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ থাকবে: নির্বাচন কমিশন ইয়াবাসহ কারবারি গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ইশতেহার প্রণয়নে জনমত সংগ্রহ করবে জামায়াতে ইসলামী বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা উপস্থাপন করলেন তারেক রহমান রেমিট্যান্স প্রবাহে ধারাবাহিক বৃদ্ধি, ডিসেম্বরের প্রথম ৮ দিনে এসেছে ১.০০৮ বিলিয়ন ডলার আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অনিশ্চিত অংশগ্রহণ নিয়ে ঢাকা-দিল্লি কূটনৈতিক আলোচনায় নতুন প্রশ্ন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত, উন্নত চিকিৎসায় বিদেশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত

ডলার সংকট কাটছে না, চাপ বেড়েছে ব্যবসায়

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ১৫২ বার দেখা হয়েছে

ভাঙা পাথর আমদানির জন্য বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংকে এলসি খুলেছিল ইনফ্রাটেক কনস্ট্রাকশন। এলসি খোলার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনামতো গ্রাহকের কাছ থেকে শতভাগ নগদ মার্জিন হিসেবে দুই কোটি টাকা জমা নেয় ব্যাংক। তা নেওয়া হয় ব্যাংকেরই দেওয়া ঋণের টাকা থেকে। পণ্য দেশে আসার আগেই গত ফেব্রুয়ারিতে এলসি মার্জিনের পুরো টাকা তুলে নেওয়ার সুযোগ দেয় ব্যাংক। ব্যাংকের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের সুবাদে ইনফ্রাটেকের মতো অনেক কোম্পানিই নানা কৌশলে আমদানি করছে বিলাসী পণ্য। অন্য সব পণ্যের চেয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানি কমছে বেশি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকগুলোর সহজে ব্যবসা আসে বিলাসী ও প্রস্তুত করা পণ্যের মতো ট্রেডিং খাত থেকে। এসব খাতের ব্যবসায়ীরা তুলনামূলকভাবে সমাজের প্রভাবশালী এবং ব্যাংকের মালিকপক্ষের সঙ্গে বেশি সম্পৃক্ত। আবার উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাব গাড়ি, টিভি, ফ্রিজের মতো ক্রেতাদের ওপর কম। ফলে এসব পণ্যের আমদানি কমানো যায়নি। আবার ডলার বাজার নিয়ন্ত্রণে অর্থ পাচার ও হুন্ডি ঠেকানোর চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকের ওপর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিলেও তেমন সুফল মেলেনি। অনেক ক্ষেত্রে সংকট বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমে এখন ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় আমদানিতে ডলারের দর ১১০ টাকা ঠিক করা হলেও ব্যবসায়ীদের কিনতে হচ্ছে ১২৩ থেকে ১২৪ টাকায়। বাড়তি টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে নানা অনৈতিক উপায়ে। সব মিলিয়ে ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ আরও বেড়েছে।

ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়াও চিকিৎসা, শিক্ষা, ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে দেশের বাইরে যাওয়ার সময় অনেকে ডলার পাচ্ছেন না। আবার হাতে থাকা কিংবা প্রবাসীদের ধরে রাখা ডলার ব্যাংকে আনতে প্রবাসীর সুবিধাভোগী ও বিদেশফেরতদের ডলার জমার ওপর উচ্চ সুদ দেওয়া হচ্ছে। তবে এসব ক্ষেত্রেও সাড়া নেই। এ রকম বাস্তবতায় আইএমএফের পরামর্শে আগামী দিনে ডলার বেচাকেনার নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিং পেগ’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ উপায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের একটি মধ্যবর্তী দর ঠিক করবে। তার সঙ্গে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি ও হ্রাসের একটি শতাংশ নির্ধারণ করা হবে।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান সমকালকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও ডলার বাজারে স্বস্তি ফেরেনি; বরং দিন দিন সংকট আরও বাড়ছে। ব্যাংকের সঙ্গে যাদের ভালো সম্পর্ক, শুধু তারাই আমদানির জন্য ডলার পাচ্ছেন। ব্যক্তি পর্যায়ে ডলার কিনতেও বেগ পেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, কৃত্রিমভাবে ডলারের দর নির্ধারণ করে রাখায় ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে অনেক বেশি দর পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে এখন দেশের বাইরে থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে অর্থ নিয়ে আসছেন। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, সেখানে সংস্কার দরকার। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স কীভাবে বাড়ানো যায়, সেদিকে জোর দেওয়া দরকার।বিস্তারিত

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com