1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সরকারি পদে থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ থাকবে: নির্বাচন কমিশন ইয়াবাসহ কারবারি গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ইশতেহার প্রণয়নে জনমত সংগ্রহ করবে জামায়াতে ইসলামী বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা উপস্থাপন করলেন তারেক রহমান রেমিট্যান্স প্রবাহে ধারাবাহিক বৃদ্ধি, ডিসেম্বরের প্রথম ৮ দিনে এসেছে ১.০০৮ বিলিয়ন ডলার আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অনিশ্চিত অংশগ্রহণ নিয়ে ঢাকা-দিল্লি কূটনৈতিক আলোচনায় নতুন প্রশ্ন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত, উন্নত চিকিৎসায় বিদেশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ১৫ কর্মকর্তার স্থানান্তর সম্পন্ন সরকারি কর্মচারীদের পে স্কেল কার্যক্রম দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ আসন্ন নির্বাচনে বেআইনি জনসমাবেশ থেকে বিরত থাকার আহ্বান সরকারের

ভোজ্যতেল ও চিনিতে শুল্কছাড়ের লাভও ব্যবসায়ীর পকেটে

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ১৪২ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে ভোজ্য- তেলের (সয়াবিন ও পাম তেল) ভ্যাট, চিনি, চাল ও খেজুর আমদানির শুল্ক কমালেও দাম কমেনি। উল্টো পাইকারি বাজারেই দাম বেড়েছে তেল ও চিনির। ফলে ক্রেতার স্বার্থের জন্য শুল্কছাড়ের সুবিধাও ঢুকছে ব্যবসায়ীদের পকেটে।

অবশ্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, যে পরিমাণ শুল্কছাড় দেওয়া হয়েছে, তাতে দাম কমবে না। নতুন দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন।

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, শুল্ক কমানোর পর একটি যৌক্তিক দাম ঠিক করা উচিত। শুল্ক কমানোর সুফল ভোক্তা না পেলে সরকারের রাজস্ব কমিয়ে কী লাভ হলো। এটি নিয়ে কাজ চলছে। স্বার্থসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে করণীয় ঠিক করা হবে।

দাম কমানোর লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৮ ফেব্রুয়ারি চিনি, চাল ও খেজুরের আমদানি শুল্ক কমায়। সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন, ব্যবসা পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করা হয়।

অপরিশোধিত প্রতি টন চিনির আমদানি শুল্ক ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা এবং পরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক ৩ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২ হাজার টাকা করা হয়। খেজুরের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়।

শুল্ক কমানোর সুফল ভোক্তা না পেলে সরকারের রাজস্ব কমিয়ে কী লাভ হলো। আবুল কালাম আল আজাদ, যুগ্ম সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

এনবিআরের এই ঘোষণার পাঁচ দিন পরও পাইকারি ও খুচরায় তেল-চিনির দাম কমেনি। বরং ওই ঘোষণার পর থেকে ঢাকার পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম লিটারে প্রায় আড়াই টাকা এবং চিনি কেজিতে ৩ টাকা বেড়েছে। মৌলভীবাজারের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী আনোয়ার হাবীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার শুল্ক কমালেও বাজারে দাম বাড়া শুরু হয়েছে। দ্রুত দাম নির্ধারণ করলে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।

পাইকারি তেল-চিনি ব্যবসায়ীরা বলেন, এনবিআরের প্রজ্ঞাপনের আগে পাইকারিতে প্রতি লিটার সয়াবিন ১৪৩.২৯ টাকায় ও পাম তেল ১১৬.১১ টাকায় বিক্রি হয়। গত সোমবার বিক্রি হয় যথাক্রমে ১৪৫.৭৮ টাকা ও ১১৮.৫৯ টাকায়। প্রজ্ঞাপনের আগে প্রতি কেজি চিনি ১২৯ টাকায় বিক্রি হলেও সোমবার হয়েছে ১৩২ টাকায়।

সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরায় প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হয় ১৫৮-১৬৫ টাকা, এক লিটারের বোতল ১৭০-১৭৩ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ১৩৫-১৪০ টাকা।

ভোজ্যতেল ও চিনিতে শুল্কছাড়ের লাভও ব্যবসায়ীর পকেটে
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি গোলাম মাওলা বলেন, সরকার প্রতি কেজি চিনিতে ট্যাক্স নিচ্ছে ৪২ টাকার বেশি। কিন্তু আমদানি শুল্ক কমিয়েছে মাত্র ৫০ পয়সা। তেলের ভ্যাট কমালেও ডলারের বাড়তি দামের কারণে দাম তেমন কমবে না।
সূত্র বলছে, ভ্যাট ছাড় দেওয়ায় প্রতি লিটার সয়াবিন ও পাম তেলে ব্যবসায়ীরা ৭-৮ টাকা ছাড় পাচ্ছেন। প্রতি কেজি চালে এর পরিমাণ ২৩ টাকার বেশি। অথচ ব্যবসায়ীরা শুধু চিনির শুল্কছাড়ের উদাহরণ টানছেন।

বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি আবুল হাসেম বলেন, মিলগেট, পাইকারি ও খুচরায় দাম নির্ধারণ না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের অনেকের মধ্যে দ্বিধা রয়েছে।

সরকার দীর্ঘদিন ধরে তেল-চিনির দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা অনেক সময়ই মানা হচ্ছে না। ফলে ক্রেতাকে কিনতে হচ্ছে সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দিয়ে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম নির্ধারণ করার ফল অনেক সময়ই কার্যকর হয় না। সরবরাহব্যবস্থা বাড়ানো এবং বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরি করতে পারলেই কেবল দাম কমবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com