1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন

যে ২৯ কারণে রোজা ভঙ্গ অথবা মাকরুহ হয়ে যেতে পারে

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪
  • ২১ বার দেখা হয়েছে

 

অনলাইন ডেস্ক

 

বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। ইসলাম ধর্মমতে, রোজা মুসলমানদের জন্য অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। বলা হয়েছে, ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের মধ্যে রোজা তৃতীয়।

ইসলামি শরিয়ামতে, সিয়ামের শুদ্ধতা ও যথার্থতার জন্য নির্ধারিত কিছু বিধিবিধান রয়েছে, যার ব্যতিক্রম ঘটলে রোজা ভঙ্গ হয়, অন্যথায় মাকরুহ হয়ে যায়।

মহান আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুমিন বান্দাকে রমজান মাসে ফরজ রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোজা রাখবে না বা ভঙ্গ করবে তার জন্য জান্নাতে প্রবেশ কঠিন হয়ে পড়বে।

পবিত্র রমজান মাসে যারা রোজা রাখেন, তারা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কিছুই মুখে দেন না। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ ও সবল মুমিনের জন্য রোজা রাখা আবশ্যক। শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকার নামই রোজা নয়; বরং রোজা রাখা অবস্থায় মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়মও।

রোজা ভঙ্গের কারণ:
১. ইচ্ছা করে বমি করা
২. বমির বেশির ভাগ মুখে আসার পর তা গিলে ফেলা
৩. মেয়েদের মাসিক ও সন্তান প্রসবের পর ঋতুস্রাব
৪. ইসলাম ত্যাগ করলে
৫. গ্লুকোজ বা শক্তিবর্ধক ইনজেকশন বা সেলাইন দিলে
৬. প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করালে
৭. রোজাদারকে জোর করে কেউ কিছু খাওয়ালে
৮. ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে
৯. রোজা রাখা অবস্থায় সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে
১০. ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে, রোজা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরও কিছু খেলে
১১. বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেললে
১২. কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে
১৩. জিহ্বা দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে
১৪. অল্প বমি মুখে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে তা গিলে ফেললে
১৫. রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অজুতে কুলি বা নাকে পানি দেয়ার সময় ভেতরে পানি চলে গেলে। (ফাতাওয়ায়ে শামি ও ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি)।

রোজা মাকরুহ হওয়ার কারণ
১. সারা দিন রোজা সঠিকভাবে করার পরেও সন্ধ্যায় ইফতারের সময় আপনি যদি এমন কোনো খাবার গ্রহণ করেন যেটি ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম, তাহলে আপনার রোজাটি মাকরুহ হবে।
২. কোনো কারণ ছাড়াই কিছু চিবাতে থাকলে রোজা মাকরুহ হবে।
৩. কোনো কিছু স্রেফ মুখে পুরে রাখলেন, খেলেন না তাতেও রোজা মাকরুহ হবে।
৪. গড়গড়া করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেয়ায় রোজা মাকরুহ হয়। আর এসব করার সময় পেটে পানি চলে গেলে রোজা ভেঙে যায়।
৫. মুখের লালা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পেটে গেলে ক্ষতি নেই, তবে ইচ্ছাকৃত দীর্ঘ সময় মুখে থুতু ধরে রেখে পরে গিলে ফেললে রোজা মাকরুহ হবে।
৬. রমজানের সারা দিন শরীর নাপাক রাখলেও রোজা মাকরুহ হবে।
৭. পাউডার, পেস্ট ও মাজন দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলে রোজা মাকরুহ হয়ে যায়।
৮. মুখে গুল ব্যবহারে মাকরুহ হয় এবং থুতুর সঙ্গে গুল গলার ভেতর চলে গেলে রোজা ভেঙে যাবে।
৯. রোজা রেখে কারো গিবত করলে বা পরনিন্দা করলে রোজা মাকরুহ হয়।
১০. মিথ্যা কথা বলা মহাপাপ। রোজা রেখে এ কাজটি করলে তা মাকরুহ হবে।
১১. রোজা রেখে ঝগড়া-বিবাদ করলে রোজা মাকরুহ হবে।
১২. যৌন উদ্দীপক কিছু দেখা বা শোনা থেকে বিরত থাকতে হবে। এতেও রোজা মাকরুহ হয়।
১৩. নাচ, গান, সিনেমা দেখা ও তাতে মজে থাকলে রোজা মাকরুহ হয়।
১৪. রান্নার সময় রোজাদার কোনো কিছুর স্বাদ নিলে, লবণ চেখে দেখলে, ঝাল পরীক্ষা করলে মাকরুহ হয়। তবে বিশেষ প্রয়োজনে সেটা যদি করতেই হয়, তাহলে বৈধ হিসেবে ধরে নেয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে ইসলামি চিন্তাবিদ শায়খ আহমাদুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, রোজার প্রথম শর্ত হলো, একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোনো কিছু পান ও আহার না করা। এ সময় সব ধরনের শারীরিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ। তবে স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হয় না।

তিনি বলেন, ‘রোজা ভঙ্গ হয় না; তবু রোজা ভঙ্গের কারণ হিসেবে কিছু বিষয় আমরা মনে করে থাকি। যেমন, সুগন্ধি ব্যবহার করা, বারবার থুতু ফেলা বা থুতু গিলে ফেলা, মেছওয়াক করা, সাজসজ্জা করা, হাতের নখ বা চুল কাটা এসবে রোজা ভঙ্গ হয় না।’

আহমাদুল্লাহ আরও জানান, রোজা রেখে মিথ্যা কথা বললে রোজার প্রাণ হারিয়ে যায়। মূর্খতার মতো আচরণ, অন্যায় করা, প্রতারণা করা, অন্যের হক নষ্ট করা, ঘুষ খাওয়া, অন্যকে ঠকানো–এগুলো রোজা রেখে করা বেমানান। রোজা রেখে এসব করলে রোজা প্রাণহীন দেহের মতো হয়ে যায়।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com