1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
গাজা ইস্যুতে জাতিসংঘে ভোট, চাপ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান উপদেষ্টার জাতিসঙ্ঘ সফরে সঙ্গী হচ্ছেন যে রাজনৈতিক নেতারা আগামী ২১ সেপ্টেম্বর রাতে তারা প্রধান উপদেষ্টার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে ২৬ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঢাকায় জামায়াতসহ ৭ রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি, তীব্র যানজটের শঙ্কা জামায়াতসহ ৭ দলের অভিন্ন কর্মসূচি আজ শুরু বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি রাজধানীসহ সারা দেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আবার দখল সড়ক EC: Sheikh Hasina, family barred from voting as NIDs blocked The upcoming parliamentary election will allow both in-country and out-of-country voting 3-day int’l security, safety expo begins in Dhaka on Thursday South Asia Trade Fair kicks off in city today 7 political parties to hold rallies today: When and where?

সাক্ষ্যে মাহমুদার মা অন্য নারীর সঙ্গে বাবুলের সম্পর্কের কথা তাঁকে জানিয়েছিলেন মাহমুদা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৪৩ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম

 

 

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অন্য নারীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের জেরে স্ত্রী মাহমুদা খানমকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করিয়েছিলেন। ঘটনার আগে বাবুলের ওই সম্পর্ক এবং তা নিয়ে সমস্যার কথা মাহমুদা তাঁকে জানিয়েছিলেন। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে এসব কথা বলেছেন নিহত মাহমুদার মা শাহেদা মোশাররফ।

আদালত সূত্র জানায়, সাক্ষ্যে শাহেদা মোশাররফ আদালতকে বলেন, ২০০২ সালের ২৬ এপ্রিল বাবুল ও মাহমুদার বিয়ে হয়। এরপর তাঁরা মোটামুটি সুখী ছিলেন। বাবুল পুলিশের চাকরিতে যোগদানের পর মাহমুদার সঙ্গে আচরণ পাল্টে যায়। বাবুল কক্সবাজারে বদলি হওয়ার পর সেখানে এক বিদেশি নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তখন মাহমুদা বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছিলেন।

শাহেদা মোশাররফ আদালতকে বলেন, বাবুল কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে কর্মরত থাকাকালে সেখানে একটি হোটেলে ওঠেন। একই হোটেলে মাহমুদাও ওঠেন। বাবুল ও একটি বিদেশি সংস্থায় কর্মরত সেই নারীকে একটি কক্ষে দেখতে পান মাহমুদা।

মাহমুদার মা জানান, ২০১৪ সালে বাবুল জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে যান। বাসায় রেখে যান তাঁর একটি মুঠোফোন। তাতে বেশ কয়েকটি খুদে বার্তা পান মাহমুদা। বাবুলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সেই নারী বাবুলকে খুদে বার্তাগুলো দিয়েছিলেন।

মিশন থেকে দেশে ফেরার পর বাবুল চীনে যান জানিয়ে শাহেদা মোশাররফ বলেন, ‘মূলত সেখানে বসে বাবুল মাহমুদাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী অস্ত্র কেনার জন্য বাবুল তাঁর সোর্স (তথ্যদাতা) কামরুল শিকদার ওরফে মুসাকে ৭০ হাজার টাকা দেন। আর পুরো খুনের ঘটনায় মুসা তাঁর সহযোগীদের ব্যবহার করেন। মাহমুদাকে খুনের জন্য বাবুল যে তিন লাখ টাকা দেন, তা ছিল মাহমুদার ব্যবসার টাকা।’

আদালতে সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে শাহেদা মোশারফ মেয়ের হত্যার পেছনের ঘটনা বলার সময় কিছুক্ষণ পরপর কাঁদতে থাকেন। চোখ মুছে আবার কথা বলেন। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় ছিলেন বাবুল আক্তার। পুরোটা সময় বাবুল ছিলেন নীরব।

আজ শাহেদা মোশারফের সাক্ষ্য শুরুর আগে দুপুরে তৎকালীন পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ সাক্ষ্য দেন। তিনি আদালতে বলেন, ঘটনার সময় তিনি পাঁচলাইশ থানার ওসি ছিলেন। ওসি হিসেবে তখন মামলা রেকর্ড করেছিলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রশিদ বলেন, সাক্ষ্য শেষ হওয়ার পর শাহেদা মোশাররফকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে আদালত জেরা মুলতবি রেখে বুধবার পরবর্তী দিন রাখেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন মাহমুদা খানম। এই ঘটনায় করা মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এই মামলায় ৪৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com